ব্যাংককের মন্দিরে বোমা বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তি বড় কোনো সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সদস্য বলে ধারণা করছে থাই পুলিশ। হামলাকারীর একটি স্কেচও প্রকাশ করেছে পুলিশ।
হামলার পর ব্রহ্মা মন্দির ইরাওয়ান দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হলেও স্কুলগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে।
ব্যাংককের ব্যস্ত এলাকার মন্দিরে হামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে ৬৮ জনের অবস্থা গুরুতর। হামলার পর থেকে বন্ধ রয়েছে ইরাওয়ানের প্রায় ৪শ’ স্কুল।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ হলুদ টি শার্ট পরা এক যুবক ছাড়াও আরও দু’জনকে চিহ্নিত করেছে।
মঙ্গলবার ব্যাংককের সাফান তাকসিন স্কাই রেলস্টেশনে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে তার সঙ্গে সোমবারের হামলার মিল রয়েছে বলে ধারণা করছেন থাইল্যান্ডের পুলিশ প্রধান।
মন্দিরের কাছে হামলার লক্ষ্য ছিল বিদেশি পর্যটক হত্যা। তবে দ্বিতীয়টির লক্ষ্য ছিলো ভীতি ছড়ানো। মন্দিরে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ থাই বাথ পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
থাই পুলিশ-প্রধান জেনারেল সোমিয়াত পুমপানমং বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, ওই হামলাকারী ব্যক্তিকে কেউ না কেউ সহায়তা করেছে। সহায়তাকারীরা থাইল্যান্ডেরই মানুষ। হামলাকারী ব্যক্তি একটি বিশাল নেটওয়ার্কের সদস্য।’
মন্দির খুলে দেওয়ার পর গতকাল সকালে পুরোহিতরা প্রার্থনা শুরু করেন। কয়েকশ’ দর্শনার্থী প্রার্থনায় যোগ দেন। বিস্ফোরণে ব্রহ্মামূর্তির সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
হামলায় নিহতদের অন্তেষ্ট্যিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের স্বজনরা ননথাবুড়ি প্রদেশের লাহাম মন্দিরে প্রিয়জনদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।