সমন্বয়হীনতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে শিগগিরই কোম্পানি আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস অ্যান্ড ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন’ বিষয়ে পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন বিষয়ক সভায় তিনি এ কথা জানান।
সরকার দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ব্যবসার পরিবেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোথাও যেন ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ব্যবসার পরিবেশ ভালো করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এই টাস্কফোর্সে সব ট্রেড বডির প্রতিনিধিরা থাকবে; যাতে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা সহজ হয়।
বর্তমানে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সমস্যায় আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই- এমন মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, উদ্যোক্তার এখন সবুজ কারখানা প্রতিষ্ঠা করছেন। এতে উৎপাদন ব্যয় অনেক বাড়ছে। কিন্তু সেহারে বাজারে পণ্যের দাম বাড়েনি।
ভারতে এন্টি ডাম্পিং সিদ্ধান্তের উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশই নিজেদের শিল্পরক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। ভারতও তাই করেছে। আমরাও নিজেদের শিল্পরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।
ব্যবসার পরিবেশ ভাল রাখার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে ব্যবসার পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ এর নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এই জন্য ব্যবসার ক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদনের সময়, বিভিন্ন ধাপ ও উৎপাদন ব্যয় কমাতে হবে। এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘ডুয়িং বিজনেস ২০১৭ শীর্ষক’ প্রতিবেদনে সহজে ব্যবসা করা যায় এমন ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে ১৭৬ নম্বরে। যা তার আগের বছরে ছিল ১৭৮।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বিমান মন্ত্রণায়ের সচিব গোলাম ফারুক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব ইউনুসুর রহমান, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিসিআইসি চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাতলুব আহমাদ, ঢাকা চেম্বারের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম খান প্রমুখ।