চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয় সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা চায় এফবিসিসিআই

আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

বৃহস্পতিবার রাজধানী হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৯তম সভায় এ প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।  এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ১৬৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এর মধ্যে আয়কর বিষয়ক প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে— ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা, করপোরেট কর ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে সব কোম্পানির করের হার ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, মূসক নিবন্ধনকারী তালিকাভুক্ত ট্রেডিং কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ করা, ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা উন্নীত করা, আমদানি ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, মাল্টিলেয়ার ট্যাক্সেশন অর্থৎ লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার করা।

এ ছাড়া দেশীয় শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল ও রসায়নিক জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ শুল্ক স্তর নির্ধারণ করা, স্টিল ও লোহা জাতীয় পণ্য, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকার ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যসহ ৪৭টি পণ্যে বিদ্যমান স্পেসিফিক ডিউটি ফি অব্যাহত রাখা।

নতুন ভ্যাট আইনের রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট, ভ্যাট অনলাইন নিবন্ধন সম্পর্কিত বিধি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন, ১৯৯১ সালের মূল্য সংযোজন কর বিধিমালার ১৮(ঙ) ধারা বন্ধ করা এবং তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন সংশ্লিষ্ট পণ্য সরবরাহের সঙ্গে সংযুক্ত খাতে ভ্যাট প্রত্যাহারসহ বেশকিছু বিষয়ে মূল্য সংযোজন কর সম্পর্কিত প্রস্তাব করা হয়।

পরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাজেটে সরাসরি রপ্তানি করা পণ্যে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বেকারি ও কৃষিজাত পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হতে পারে তবে পোল্ট্রিতে কোনো প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব হবে না।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ১০ শতাংশের ওপরে যাচ্ছে না।  তাই, করের আওতা বাড়িয়েই রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে।  রাজস্ব না কমিয়ে কিভাবে কর্পোরেট ট্যাক্স সুষম করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।