প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে দারুণ খুশি রুমানা আহমেদ। তবে দায়িত্বকে বাড়তি চাপ হিসেবে না নিয়ে দলের হয়ে ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সটাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এ অলরাউন্ডার। দলের নতুন কোচ নিজেও তরুণ এ ক্রিকেটারদের মধ্যে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন।
লেগ স্পিনার, সে সঙ্গে ব্যাট হাতেও দারুণ দক্ষ। ‘দলের ভরসা’ খেতাবটা আগেই জুটিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ। দলকে অনেক জয় এনে দিয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম জয় আসে রুমানার হাত ধরে। সেপ্টেম্বরে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন এ লেগ স্পিনার।
সালমা-জাহানারা’র পর এবার দলের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন রুমানা আহমেদ। নেতৃত্বকে আলাদা প্রেসার হিসেবে দেখছেন না তিনি। তবে, দলের হয়ে ব্যাক্তিগত পারফরমেন্স ধরে রাখতে চান তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে রুমানা’র প্রথম ম্যাচ নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে থাইল্যান্ডের ‘টি-টুয়েন্টি এশিয়া কাপ’। তারই প্রস্তুতি চলছে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা। হার-জিত খেলার অংশ। তবে আমরা আমাদের খেলাটা খেলে যেতে চাই।
শেখ কামালের উইকেটে নিজেদের ঝালাই করার সুযোগ পাচ্ছেন স্পিনাররা। তবে দলের অন্যদের মধ্যেও সম্ভাবনার কমতি দেখছেন না কোচ।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের কোচ ডেভিড ক্যাপেল বলেন, থাইল্যান্ডের মতোই এখানকার পিচ কন্ডিশন। দলের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের মধ্যে আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। এটা যদি ধরে রাখা যায় তাহলে আশা করছি আমরা ভালো ফলাফল পাবো।
২০ দিনের ক্যাম্পে ছ’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টিম টাইগ্রেস। ২৫ নভেম্বর থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল।