চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বোলিংয়ে পার্শ্বনায়কই থাকতে চান মাহমুদউল্লাহ

সাকিবের মতো অবদান রাখতে পারলে খুশিই হবেন

বিপিএল এলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়ে যান মূল বোলারদের একজন। চোট কাটিয়ে দুই ম্যাচ পর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নেমেই করলেন দুর্দান্ত বোলিং। শনিবার ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক অফস্পিনে তুলে নেন একটি উইকেট।

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলারের ভূমিকায় টি-টুয়েন্টি আসর এলে চমকই দেখান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু জাতীয় দলে বদলে যায় তার ভূমিকা। মিডলঅর্ডারে ব্যাটিং আর প্রয়োজনে টুকটাক বোলিং- এভাবেই চলছে অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

কাঁধে চোট থাকায় বিশ্বকাপে বোলিং করতে পারেননি। পরে টি-টুয়েন্টি দলে বোলিংয়ে নির্ভরতা বাড়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও আফিফ হোসেন ধ্রুব’র উপর। মাহমুদউল্লাহ নিজেকে আড়ালে রেখে তরুণদের উপরই ভরসা রাখছেন।

‘আমি সবসময় নিজেকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার ভাবি। ব্যাটিং প্রাধান্য পাবে আগে। বোলিংটা আমার বাড়তি শক্তি। এখন জাতীয় দলে অনেক বোলার আছে। আফিফ আছে, মোসাদ্দেক আছে। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে তারা খুবই কুশলী বোলার।’

মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক ও আফিফের জাতীয় দলে ভূমিকা একই- ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তবে বল ও ব্যাট হাতে অভিজ্ঞতা আর সফলতায় অনেক এগিয়ে মাহমুদউল্লাহ। তিন সংস্করণ মিলে ১৫০ উইকেট নেয়া হয়ে গেছে তার। বোলিং নিয়ে আরেকটু সিরিয়াস হলে হয়ত সাকিব আল হাসানের মতোই দ্বৈত-ভূমিকায় বাংলাদেশ পেতে পারত তাকে!

এদিন সংবাদ সম্মেলনে জয়ী দলের অধিনায়ক হিসেবে এলেন মাহমুদউল্লাহ। সেখানে প্রশ্ন উঠল বোলিং দিয়ে কেন নিজেকে আরেকধাপ উপরে নিয়ে যেতে চান না? মাহমুদউল্লাহ সম্ভাবনার পালে হাওয়া না দিয়ে অল্প কথায় বেঁধে রাখেন নিজেকে।

আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থাকায় আগামী বছর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবকে শুরু থেকে পাবে না বাংলাদেশ। তার অভাব নিয়ে কিছু ভাবছেন মাহমুদউল্লাহ? জানালেন, ‘সাকিবের সঙ্গে যদি নিজেকে পরিমাপ করতে যাই তাহলে সেটা ঠিক হবে না। একজন সাকিব এক প্রজন্মে পাওয়া খুব কঠিন। সাকিব একজনই। আমরা সবাই জানি, ও কতটুকু ক্যাপাবল ক্রিকেটিং স্কিল বা ব্রেইনস্কিল দিয়ে। আমি চেষ্টা করব। ওর মতো বোলিংয়ে যদি অবদান রাখতে পারি, তাহলে খুশিই হবো।’