চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বৈষম্যের কারণে পরিবার-সমাজ থেকে আলাদা হিজড়ারা

হিজড়াদেরকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলেও পরিবারে অবহেলা আর সমাজে কথিত গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় পরিবার ও সমাজ থেকে আলাদা হয়ে পড়েন তারা। সমাজমনোবিদরা বলছেন, নারী-পুরুষের বাইরে অন্য পরিচয় সমাজ এখনো মেনে না নেয়ায় হিজড়ারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বৈষম্যনিরোধ আইন ছাড়া হিজড়াদের সুরক্ষা সম্ভব নয়।

মাত্র সাত বছর বয়সে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন সুমন। না নারী না পুরুষ এমন শারীরিক অবস্থায় ছোট্ট বয়সেই থাকতেন দারুণ বিষন্ন। ঘরে মা-বাবা-ভাইবোনেরাও সেভাবে মনোযোগ দেননি। কন্ঠস্বর-অঙ্গভঙ্গি আর অন্যরকম আচরণের কারণে ভিন্ন চোখে দেখতেন সহপাঠি এমনকি স্কুলের শিক্ষকরাও। এক পর্যায়ে ঘর ছেড়ে শুরু হয় তার ভাসমান জীবন। ।

তার মতোই কনা, শ্রাবন্তী, এরকম নামে-ছদ্ম নামে হিজড়ারা একেকজন গুরুমার ছায়ায় আশ্রয় নেন। গুরুমাকে কেন্দ্র করেই গড়ে তোলেন এক একটি পরিবার।

এক একজন গুরুমার কাছে থাকেন ২৫ থেকে ৩০ জন। তবে সর্বোচ্চ আড়াইশ হিজড়ার সংঘবদ্ধ হয়ে এক গুরুমার অধীনে বসবাসের নজিরও আছে।

তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি পাওয়া হিজড়াদের মূল জীবিকা শিশুর জন্মের পর সেই বাড়িতে নাচ-গান।

একইভাবে বিয়েবাড়ি বা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানেও হিজড়ারা নাচ-গান করতে উপস্থিত হন।
কখনো কখনো তাদের দাবী অতিরিক্ত মনে হলেও এটাই ঐতিহ্য বলছেন তারা।

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা বলছেন, বাধ্য হয়েই তাদের পরিবার ও চারপাশের সমাজ ছাড়তে হয়, বেছে নিতে হয় ভাসমান জীবনে।

আরো দেখুন ভিডিও রিপোর্টে:

https://youtu.be/rdq9zhmTcrU