অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টেও করেছে যাচ্ছেতাই শুরু। প্রথমদিনে ১৮৫ রান তুলতে সব উইকেট খোয়ানোর সারা। অবশ্য বাজে ব্যাটিংয়ের কারণও খুঁজে পেয়েছেন জনি বেয়ারস্টো। টস ভাগ্য ও বাজে শট ভুগিয়েছে তাদের।
মেলবোর্নে ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে বাজে শট ও উইকেট বিলিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সফরকারীরা। বক্সিং-ডে টেস্টে সর্বোচ্চ ফিফটি রানের ইনিংস অধিনায়ক জো রুটের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, একবার জীবন পাওয়া জনি বেয়ারস্টোর ৩৫ রান।
বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনীর পর ‘শেষ বল পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার’ প্রত্যয় বেয়ারস্টোর। জানালেন, কঠিন হয়ে ব্যাটিংয়ে ফিরবেন তারা। সিরিজে টিকতে গড়বেন বড় স্কোর।
‘আমাদের আরও শক্তিশালী এবং ডিসমিসালগুলোর ব্যাপারে কঠোর হতে হবে।’ নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়ে বেয়ারস্টো বললেন, ‘দিনটি থেকে আমরা শিক্ষা নেবো, পরেরবার মূল্যায়ন করব এবং ভিন্ন পথ খুঁজবো। আমরা এখনও বড় স্কোর খুঁজছি।’
সিরিজে ফেরার মিশনে নেমে প্রথম ইনিংসেই অনেকটা ব্যাকফুটে পড়ে গেছেন রুটরা। দিনের শেষে ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট তুললেও অস্ট্রেলিয়া রয়েছে চালকের আসনে। নিজেদের ব্যর্থতার দিনে বেয়ারস্টো দায় দেখছেন টস হারেরও।
‘যখন টসের দিকে তাকিয়ে থাকবেন, সেটা পক্ষে আসবে না। আমরা শুরুতে বল করতে চেয়েছিলাম। উপযোগী কন্ডিশন ও সবুজাভ পিচে উভয় দলই বল করতে চেয়েছিল। এটা আশ্চর্যের বিষয় ছিল না। আবহাওয়া, বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে শুরুতে ব্যাট না করার পরিকল্পনা সবসময়ই ছিল।’
‘আমরাও এখানে বল করবো’ জানিয়ে বেয়ারস্টো বললেন, ‘পুরো দিনে পিচ অনেক সুবিধা দিয়েছে। নাইটওয়াচ ম্যানে (নাথান লায়ন) সম্ভাব্য একটি প্রান্ত খোলা পেয়েছি। আমরা তাকে এবং (মার্কাস) হ্যারিসকে পরের দিন চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত ফেরানোর ব্যবস্থা করবো।’
রোববার টস জিতে বোলিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক প্যাট কামিন্স আঘাত হানেন ইংলিশ লাইনআপে। নাথান-কামিন্স মিলে ধ্বসে দেন সফরকারীদের। ১৮৫ রানে থামিয়ে ১ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তুলেছে অজিরা।
দ্বিতীয় দিনে ২০ রানে মার্কাস হ্যারিস ও শূন্য রান নিয়ে নামবেন নাথান লায়ন। ইংলিশদের থেকে এখনও ১২৪ রান পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া।