করোনা বিরতির সময়টা সাইফউদ্দিন কাটিয়েছেন নিজ জেলা ফেনীতে। সেখানে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় বোলিং নিয়ে খুব বেশি কাজ করতে পারেননি। ঢাকায় ফিরে কিছুদিন ছিলেন আইসোলেশনে। বুধবার পেস বোলিং অলরাউন্ডার যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে।
ছয় মাস পর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বোলিং সেশন সেরে সাইফউদ্দিন জানালেন কিছুটা অস্বস্তির কথাই, ‘করোনার সময়টা আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। নিজ জেলা ফেনীতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি। কিন্তু স্কিল নিয়ে অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি।’
‘ব্যাটিংটা যতটুকু পেরেছি পাকা উইকেটের মধ্যে করেছি, বোলিংটা একদমই করতে পারিনি। যার কারণে আজকেও বোলিং করেছি, গত দুইদিনও বোলিং করেছি। ছন্দ পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছি। তারপরও আশাবাদী আরও কিছুদিন বোলিং করতে পারলে হয়তোবা আগের রূপে ফিরে আসতে পারবো।’
সাইফউদ্দিন ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছেন কঠিন চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিয়ে। ছন্দ হারিয়ে, চোটে পড়ে অল্পদিনের ক্যারিয়ারে টাইগার তরুণ দেখে ফেলেছেন মুদ্রার দুই পিঠই।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স সাইফউদ্দিনের ক্যারিয়ারকে নিয়ে গেছে একধাপ উপরে। সময়ের স্রোতে সাদা বলের ক্রিকেটে দলের অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন ২৩ বছর বয়সী তারকা। এবার টেস্ট দলের ভাবনায় ঢুকে পড়েছেন। আছেন শ্রীলঙ্কা সফরের প্রাথমিক দলে।
‘প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলা, আমিও ব্যতিক্রম নই। চেষ্টা থাকবে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করা। আমার এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য নিজেকে ফিট করা, স্কিল উন্নতি করা। কিছুটা চিন্তিত আমার স্কিল নিয়ে। প্রায় ৬-৭ মাস বোলিং, ব্যাটিং সেভাবে করতে পারিনি, আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটে যেভাবে ডমিনেট করতে হয় সে অনুযায়ী। তারপরও যে সময়টা আছে, যদি শ্রীলঙ্কায় যাই, সেখানে যে সময়টা পাবো নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করবো।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্স মন্দ নয়। চট্টগ্রাম বিভাগের এ ক্রিকেটার রেখেছেন প্রতিভার ছাপ। ৩৪ ম্যাচে ৪৯ ইনিংসে করেছেন ১২৬০ রান। গড় ৩৫.০০। সেঞ্চুরি একটি, ফিফটি ৯টি। ঝুলিতে উইকেট ৬০টি।