অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এর আগে ৫৬টি মামলা হলেও বাচ্চু ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সংসদে অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্যের পরেই বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে দুদক।
প্রায় ৫ বছর আগে বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছিল দুদক। মাঝখানে তদন্ত কিছুটা ঝিমিয়ে পড়লেও কয়েক মাস আগে ৫৬টি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় তিনজন ব্যাংক কর্মকর্তা আটকও হয়।
কয়েকদিন আগে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জানান, এই দুর্নীতিতে আব্দুল হাই জড়িত। এ বক্তব্যের পর আবারও আলোচনায় বেসিক ব্যাংকের এই সাবেক চেয়ারম্যান। দুদক কার্যালয়ে মাসিক সংবাদ সম্মেলনেও দুদক কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হতে হয় বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির প্রশ্নের।
দুদকের পরিচালক নূর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের যারা এই বিষয়ে তদন্ত করছেন তারা বিষয়টি দেখছেন। প্রথম এফআইআরে কারে নাম না আসলেও তদন্তে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তাকে ডাকা হবে।’
তদন্ত স্বচ্ছ করতে এবং গতি আনতে নিজেদের নিয়েই গণশুনানির কর্মসূচি নিচ্ছে দুদক। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ ও গবেষণা) ডা. মো. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা গণশুনানি করছি। এর মাধ্যমে আমরা মানুষের যে পাওয়া তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর এ জন্য আমরা গণশুনানি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে করছি।’
দুদুক কর্মকর্তারা মনে করছেন এ ধরনের গণশুনানি হলে কর্মকর্তাদের জবাদিহীতার জায়গা তৈরি হবে।