চলতি বছরের শুরু থেকেই কমছে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ। আগস্ট মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। যা জুলাইতে ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। অথচ জানুয়ারিতে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ঋণ প্রবৃদ্ধি বেসরকারি খাতে কমলেও সরকারি খাতে বেড়েছে। এই খাতে প্রবৃদ্ধির হার ২৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলছেন, দেশব্যাপী বড় বড় সরকারি প্রকল্পগুলোর কাজ চলায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার।
বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ কমার কারণ হিসেবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তারা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছেন। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা আশঙ্কার পাশাপাশি দেশের ভেতরে নানা অনিশ্চয়তা রয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। অবকাঠামোগত সমস্যা এখনও দূর হয়নি। এসব কারণে বিনিয়োগ কমেছে। তাই বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৭ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। গত এক বছরে (২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন) পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে মোট আমানত বেড়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম ৯ মাসে বাড়ে ৬০ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। আর শেষ ৩ মাসে বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। তবে আমানত বাড়লেও বেসরকারি খাতে ঋণের গতি নেই।
তথ্যমতে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকার ঋণ নিয়েছে ২০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। এর সিংহভাগই নিয়েছে তফসিলি ব্যাংক থেকে। অথচ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়ে ব্যাংক থেকে সরকার ধার করেছিল ২৬ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। কিন্তু নতুন অর্থবছরের ৩ মাস না যেতেই আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।