বেলারুশে রাশিয়ার ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর খবরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস বলছে, ইউক্রেনের উত্তর সীমান্ত এলাকায় এ সামরিক মহড়া অঞ্চলটিতে আরও উত্তেজনা বাড়বে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, ‘রাশিয়ার এই মহড়াকে আমরা উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ বলে মনে করছি। তাদের এমন কর্মকাণ্ড উত্তেজনা কমাবে না।’
বিবিসি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে রাশিয়া বেলারুশে ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ৩০ হাজার রাশিয়ান সেনা এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
বেলারুশ ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ। তাদেরকে রাশিয়ার অন্যতম মিত্র বলে বিবেচিত হয়। ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র সামরিক মহড়াটিকে জরুরি বলে জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিযুক্ত রাশিয়ার অ্যাম্বাসেডর ভ্লাদিমির চিজভ জানিয়েছেন, রাশিয়ান সেনারা তাদের অনুশীলন শেষ করে শিগগিরই স্থায়ী ক্যাম্পে ফেরত আসবে।
তিনি বলেছেন, কূটনৈতিক তৎপরতা ইউক্রেন সংকট কমাতে পারে বলে এখনো বিশ্বাস করে তার দেশ।
ভ্লাদিমির চিজভ’র বরাতে বিবিসি জানায়, কাউকে আক্রমণের কোনো আগ্রহ মস্কোর নেই। কিন্তু রাশিয়াকে তার মানসিকতা পরিবর্তন না করানোটা জরুরি।
গত সোম ও মঙ্গলবারের আকস্মিক কূটনৈতিক তৎপরতায় রাশিয়ার কাছ থেকে এমন বক্তব্য আসলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিন দিন আগে গত সোমবার ইউক্রেনে ইস্যুতে মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ।
আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন মাখোঁ। পুতিন জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছা নেই ক্রেমলিনের।
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। যে কোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলে বার বার সতর্ক করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলো। তবে রাশিয়া ধারাবাহিকভাবে ইউক্রেন আক্রমণের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।