বার্ধক্যজনিক কারণে মারা গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসসফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র প্রযোজক মতিউর রহমান পানু। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরার নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মতিউর রহমান শুধু প্রযোজক হিসেবেই সফল ছিলেন না, বরং পরিচালক হিসেবেও ছিলেন সফল। তার মৃত্যুতে একজন অভিভাবক হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
খসরু চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, তার মতো গুণী নির্মাতা ও প্রযোজকের মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির। তার পরিবারের জন্য সহমর্মিতা রইলো। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে পানু ভাইয়ের মরদেহ এফডিসিতে আনা সম্ভব হয়নি।
তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, বয়স হওয়ার কারণে মতিউর রহমান পানু ভাই বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
সফল এই প্রযোজক ও পরিচালকের বড় ছেলে পল্লবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানান, আমরা বাবাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় চলে এসেছি। আসর নামাজের পর সেখানেই তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন হবে।
১৯৩৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন মতিউর রহমান পানু। পরিচালক হওয়ার নেশায় ১৯৬৪ সালে তিনি এফডিসিতে পা রাখেন। সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করেন দারাশিকো, সৈয়দ আউয়াল ও বাবুল চৌধুরীর সঙ্গে। পরিচালক হিসেবে তার স্বপ্নপূরণ ১৯৭৯ সালে। ‘হারানো মানিক’ তার
পরিচালিত প্রথম ছবি।
তাঁর পরিচালিত ও প্রযোজিত ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘টাইগার নাম্বার ওয়ান’, ‘হারানো মানিক’, ‘আপন ভাই’, ‘নাগ মহল’, ‘নির্দোষ’, ‘সাহস’, ‘মান মর্যাদা’, ‘নির্যাতন’