খেলোয়াড়রা বেতন না কমালে জানুয়ারিতে দেউলিয়া ঘোষণা করা হবে বার্সেলোনাকে! ঝুঁকি এড়াতে প্রতিনিয়ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট কার্লেস টেসকুয়েটস।
খেলোয়াড়দের সঙ্গে যতটা সম্ভব নমনীয় হয়েই পারিশ্রমিক কমানোর কাজটা সারতে চাইছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। কেউ রাজি না হলে প্রয়োজনে কঠিন হওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। এমনকি মেসির ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত পাল্টাবে না বলে জানিয়েছেন টেসকুয়েটস।
ইউরোপের মধ্যে খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি বেতন দেয় বার্সা। করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এখন সেটি কমাতে উঠেপড়ে লেগেছে ক্লাবটি। সবমিলিয়ে জানুয়ারির মধ্যে দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ বাঁচাতে হবে কাতালানদের।
অবশ্য পদত্যাগ করা সভাপতি জোসেপ মারিয়া করোনার শুরু থেকেই খেলোয়াড়দের বেতন কমানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তার সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো না হওয়ায় খেলোয়াড়রা মোটেও রাজি হননি প্রস্তাবে। বিশেষ করে অধিনায়ক মেসির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল সবচেয়ে শীতল। খেলোয়াড়দের যেন বেতন না কমে, তার প্রতিবাদে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
গত আগস্টে ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা জানিয়ে বসা মেসির সঙ্গে আর ৮ মাসের চুক্তি বাকি আছে বার্সার। চুক্তি নবায়ন করাই এখন ক্লাবের মূল মাথাব্যথা। সেজন্য মেসিকে বাকি রেখে অন্যদের বেতনে হাত দেয়া হবে, তেমন ইচ্ছাও নেই বলে জানিয়েছেন টেসকুয়েটস। দলের সেরা তারকার সঙ্গে অন্যদের মতোই আচরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আপদকালীন প্রেসিডেন্ট।
‘আমরা মেসির সঙ্গে কোনো আলাদা চুক্তি করবো না। প্রয়োজনে চুক্তির ধরন পাল্টাতে পারে। তবে একেকজনের জন্য একেকরকম চুক্তি হবে না।’
এবিষয়ে মেসি ও সবার সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন টেসকুয়েটস, ‘আমার মনে হয় আমরা একটা ইতিবাচক চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব। সবার মাঝে একটা আগ্রহ দেখা গেছে। আমরা কারও কাছ থেকে এমনি এমনি টাকা নিচ্ছি না, অবস্থা ভালো হলে সেই টাকা ফিরিয়ে দেবো।’
‘মেসির সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে বসতে চাইছি না। কারণ আমাদের আগে চুক্তিতে বসতে হবে। মেসি আর তার প্রতিনিধির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।’
বার্ষিক খরচের ৭০ শতাংশ খেলোয়াড়দের পেছনেই খরচ করে বার্সা। ভবিষ্যতে তা কমিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যেতে যান টেসকুয়েটস।
‘এটা লুকানোর কিছু নেই যে বার্সা ইউরোপে সবার চেয়ে বেশি বেতন দেয়। আমি সামনে এ নিয়ে কাজ করতে চাই। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর র্যামন প্ল্যানেস, কোচ রোনাল্ড কোম্যান ও প্রধান নির্বাহী অস্কার গারুর সঙ্গে কথা বলে তরুণদের উপর ভরসা রাখায় অভিবাদন জানিয়েছি, অনেকের এই সাহস থাকে না।’
‘আমাদের মোট খরচের ৭০ শতাংশ বেতনের পেছনে খরচ হয়, যা অনেক। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।’