ইউরোপের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের জন্য গবেষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েও বিভাগের অসহযোগিতার কারণে যোগদান করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম।
মাইদুল ইসলাম জানান: উচ্চ আদালতে মামলা স্থগিতের পর রায়ের কপিসহ বিভাগে ছুটির জন্য আবেদন করেছেন ৪ সেপ্টেম্বর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাছুটি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার আবেদন করার সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটিরি সভা করে সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা থাকলেও আবেদনের সাত কর্মদিবস পেরিয়ে গেলেও প্ল্যানিং-এর ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বিভাগ থেকে।
পহেলা সেপ্টেম্বর আমার সেশন শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন: বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় যেতে তাগাদা দিচ্ছে প্রতিদিন। বিভাগের চেয়ারপার্সনকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করার পরও তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি।
‘তবে আমার আবেদনের বিপরীতে বিভাগের চেয়ারপার্সন রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখেছেন বিভাগে আমার ছুটির জন্য সভা আহ্বান করবেন কিনা, সে মর্মে। রোববার রেজিস্ট্রার আমাকে জানিয়েছেন, “এটা বিভাগের ব্যাপার, চেয়ারম্যান প্ল্যানিংয়ের প্রধান, তাকে এ ব্যাপারে আমি নির্দেশনা দেব কেন? এটা তো ওনার ব্যাপার। আমারতো সেই এখতিয়ারই নেই।” আর চেয়ারপার্সন বলছেন রেজিস্ট্রারের চিঠি ছাড়া সভা আহ্বান করবেন না।’
‘আমি মনে করি, আমাকে হয়রানি করার মধ্য দিয়ে বিভাগের চেয়ারপার্সন বা বিভাগ আমার উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ন্যায্য অধিকারকে রদ করছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও সংবিধানসম্মত নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী।’
ইতোপূর্বে ফেসবুকের একটি সাধারণ পোস্টকে ঘিরে আমার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন: সেই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার কারণে আমাকে কারাবরণও করতে হয়েছে। সেই মামলায় আমি আমার পক্ষে উচ্চ আদালতের রায় পেয়েছি এবং সাধারণ নাগরিক ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে আমার সব ধরনের অধিকার ভোগ করতে আর কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে মাননীয় আদালতের আদেশকেও অবমাননা করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে চ্যান্সেলরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।