বৃক্ষরোপণে গাছের প্রজাতি নির্বাচনে জাতীয় কমিটি গঠন ও জীববৈচিত্র রক্ষায় বাজেটে তহবিল গঠনের সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
‘বৃক্ষরোপণ ২০২০- চিন্তায় দেশীয় বিপন্ন বৃক্ষ’ বিষয়ে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব প্লান্ট টেক্সোনোমিস্ট, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং চ্যানেল আই আয়োজিত অনলাইন আলোচনায় বক্তা বৃক্ষরোপণ অর্থবহ করতে নানা পরামর্শ তুলে ধরেন।
উদ্ভিদবিদ, প্রাণীবিদ, মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ ও বন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত অনলাইন আলোচনায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর জসিম উদ্দিন। উপস্থাপনায় বিদেশী বৃক্ষের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে দেশীয় বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন এই উদ্ভিদবিদ। বৃক্ষরোপণে গাছের প্রজাতি নির্বাচনে জাতীয় কমিটি গঠন ও সরকারি সংস্থাগুলোর মাঝে বৃক্ষরোপণে সমন্বয়ের সুপারিশ করেন জসিম উদ্দিন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু জীববৈচিত্র রক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেটে তহবিল গঠনের সুপারিশ করেছেন। করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিবেশের উপর চাপ কমাতে এ খাতে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, বৃক্ষ রোপনের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে দেশীয় ফলজ, বনজ ও অষুধি বৃক্ষ রোপন উৎসাহিত করা হলেও বিদেশী বৃক্ষই জায়গা করে নিচ্ছে।
বড় গাছ কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, বড় গাছ কমে যাওয়ায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বৃক্ষরোপনে দেশীয় গাছ বেঁছে নেওয়ার আহ্বান জানান প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।
এছাড়া গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে পরিবেশ, মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান আলোচকরা। শতবর্শী গাছ রক্ষণাবেক্ষণ ও নগরের সৌন্দর্যবর্ধনে দেশীয় গাছ লাগানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আলোচনায় অংশ নেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, যশোর সোশ্যাল ফরেস্টিক সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রিয়াজুল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর আলমুজাদ্দেদী আলফিসানী ও প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ফিরোজ জামান।