প্রথম দফায় ডান হাতের শিকড় অপসারণে অস্ত্রোপচারের পর আজ শনিবার বৃক্ষমানব আবুল বাজানদারের বাম হাতের শিকড় অপসারণে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথম অস্ত্রোপচারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় দফা এই অস্ত্রোপচার সফল ও আরো সহজ হয়েছে।
বাম হাতের শিকড় অপসারণে বাজানদারের অস্ত্রোপচার শুরু হয় সকাল ১১টায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অস্ত্রোপচার কক্ষের বাইরে অধীর অপেক্ষায় আবুল বাজানদারের স্বজনেরা।
মা আমেনা বেগম বলেন, সে আমাকে দোয়া করতে বলে। আমি দোয়া করি সে যেন সুস্থ হয়ে যায়।
আবুল বাজানদারের স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, আমার ছোট মেয়েও সবসময় হাত তুলে দোয়া করে। সে বলে, আমাকে যেন কোলে নিতে পারে, আদর করতে পারে। মেয়ে সবসময়ের জন্য দোয়া করে।
২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় অস্ত্রোপচারে ডান হাতের শিকড় অপসারণ করে হাতের পাঁচটি আঙ্গুল স্বাভাবিক আকৃতিতে ফিরিয়ে আনেন চিকিৎসকরা। এর প্রায় এক মাস পর আজ শনিবার হয় দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার।
আবুলের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘একটা অপারেশন ডান হাতে করা হয়েছিলো। ওই অভিজ্ঞতাটাই কাজে লাগিয়ে আজ আমরা বাম হাতে আজ সফল ও ফলপ্রসু অপারেশন করেছি।’
চিকিৎসকরা বলছেন, ডান হাতের পর বাম হাতকে কর্মক্ষম করা আর পুনরায় শিকড় গজানো প্রতিরোধ করাই তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
আবুলের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম, আমেরিকা থেকে পাওয়া ইমেইলটা থেকেই আমরা বুঝতে পারবো সমস্যাটা যেন আবার ফিরে না আসে সেজন্য আমাদের কি কি করণীয়।
আবুলের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. কবীর বলেন, ক্লিনিকালি তার আর কোনো সমস্যা নেই। বায়োপসি পেলেই জানা যাবে আর কোনো সমস্যা আছে কিনা।
মেডিকেল বোর্ড আজ রংপুর থেকে আসা একই পরিবারের তিন সদস্যের নমুনা বায়োপসির জন্য সংগ্রহ করেছেন। ঐ তিনজনের রোগের লক্ষণও ট্রি সিনড্রোম বলে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত হয়েছে।