করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’দ্রুত সংক্রমণের পটভূমিতে দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা নিয়ে কাজ করার জন্য মন্ত্রিসভা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ওমিক্রন সংক্রমণ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা বুস্টার ডোজের জন্য একটা সুপারিশ করেছে, সেটা আমাদের দেশের জন্যও চিন্তা-ভাবনা চলছে, কিভাবে বুস্টার ডোজটা দেয়া যায়।’ প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রনে’র বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজ বিশেষ করে ওমিক্রন নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আপনারা জানেন এটা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে।’ তিনি বলেন, আমরা খুব ভাগ্যবান যে দু’জন শনাক্ত হয়েছেন, দুজনই হচ্ছেন ক্রিকেট বোর্ডের। ক্রিকেট বোর্ডের একটা সুবিধা আছে তাদের সাথে সোনারগাঁও হোটেলের একটা এগ্রিমেন্ট আছে। সোনারগাঁও হোটেলের ফ্লোরের একটা উইং পুরোপুরি বায়ো বাবল হিসেবে রেখে দিয়েছে। সেজন্য যেসব খেলোয়াড় বাইরে থেকে আসে তারা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বায়ো বাবলে ঢুকে যায়, সেখানে টেস্ট হয়।
বুস্টার ডোজ ফ্রি নাকি ফি দিয়ে দেয়া হবে- এ জিনিসগুলো ওনারা আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। আজ প্রধানমন্ত্রীও মন্ত্রিসভায় বার বার অনুরোধ করেছেন, আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, আমি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রটোকলটি (ওমিক্রন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে) নিয়েছি। আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও তার স্ত্রী দুজনই সাউথ আফ্রিকায় সিনিয়র কনসালটেন্ট ও নাগরিক। তারা আমাকে প্রটোকলটা দিয়ে দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে, এটা খুব দ্রুত ছড়ায়। যদিও এটার প্রভাব ডেল্টার মতো নয়। অত ভয়ের কিছু না থাকলেও ছড়ানোর হারটা বেশি, বলেন তিনি।
সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে ফেরত দেশের দুজন নারী ক্রিকেটারের শরীরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তবে, সূত্রমতে, যে দুজনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল, তাঁরা এখন ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। তৃতীয় কোনো ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন পাওয়া যায়নি।