করোনা প্রতিরোধে যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে তা নিয়ে এখন চলছে গবেষণা। প্রতিদিনই বিভিন্ন আশার আলো দেখা দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে চলছে ভ্যাকসিনেশন। মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের বিকল্প এখনও আসেনি। এরমধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়ে এলো আরেকটি সুসংবাদ।
এএফপির সংবাদে জানা গেছে: যারা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়েছেন, বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার অথবা মডার্নার টিকা তাদের জন্য কার্যকর হতে পারে। গবেষণা বলছে, যারা মডার্নার টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, তাদের শরীরের অ্যান্টিবডি ফাইজার বা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বুস্টার ডোজের তুলনায় বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ ঐ গবেষণা পরিচালনায় যুক্ত। ৪৫৮ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। তারা কমপক্ষে ১২ সপ্তাহ আগে ফাইজার, মডার্না অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়েছিলেন। বুস্টার ডোজ নেওয়ার ১৫ দিন পর গবেষকেরা তাদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেন। গবেষণার ফলাফল গবেষকদের রীতিমতো আশাবাদী করে তোলে।
দেখা গেছে, যারা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়েছেন, তাদের একই ধরনের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর অ্যান্টিবডি চার গুণ বেড়েছে। ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর অ্যান্টিবডি বেড়েছে ৩৫ গুণ। আর মডার্নার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর অ্যান্টিবডি বেড়েছে ৭৬ গুণ।
গবেষণায় আরও জানানো হয়, যারা মডার্নার টিকা নিয়েছিলেন, তাদের অ্যান্টিবডির মাত্রা ফাইজার অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় বেশি ছিল। বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর কারও শরীরে বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়। ফাইজারের বুস্টার ডোজ টিকা এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেয়েছে। ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী উচ্চঝুঁকিতে থাকা মানুষ এবং যাঁরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের বেশি সংস্পর্শে আসেন, তাদের জন্য এ টিকার বুস্টার ডোজ অনুমোদন পেয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজের অ্যান্টিবডি বাড়ার সংবাদ নিশ্চয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। আমরা আশা করি করোনা ভ্যাকসিন এই রোগ নির্মূলে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। বিশ্বব্যাপী মানুষ নতুন করে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরতে পারবে।