ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামের টেপরি রানী একজন বীরাঙ্গনা। ১৯৭১ সালে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা তাকে ইচ্ছামতো নির্যাতন করত। সবার কথা চিন্তা করে সব মুখ বুজে সহ্য করেছেন। তাকে মেরে ফেলার জন্য পাকিস্তানি সেনাদের বারবার আকুতি করেছিল কিন্তু তারা তা করেনি।
সেই টেপরি রানীকে নিয়ে একটি গান লিখেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ। আর এই গানে কণ্ঠ দিলেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ‘ওয়ারফেজ’-এর সাবেক ভোকাল মিজান। গানটির সুর সংগীতায়োজন করেছেন রাজিব হোসেন।
সম্প্রতি রাজধানীর মগবাজারের একটি স্টুডিওতে বীরাঙ্গনা শিরোনামের গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। গানে কণ্ঠ দেয়া প্রসঙ্গে শিল্পী মিজান বলেন, দেশ স্বাধীনের সাথে একজন বীরাঙ্গনার বিরাট অবদান রয়েছে। দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে তিনি সর্বস্ব হারিয়েছেন। তার মতো বীরাঙ্গনা মায়েদের সরকার সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়েছেন এটাও বড় ব্যাপার। বীরাঙ্গনা শিরোনামের গানের কথাগুলো শ্রোতাদের ভাবাবে।
এর আগে এই গানের গীতিকার ও সুপার কর্মকর্তা দেওয়ান লালন আহমেদ জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাঁদো বাঙালি কাঁদো, ২৫ শে মার্চ, মা শিরোনামের গানগুলো লিখেছিলেন। নতুন করে বীরাঙ্গনা শিরোনামের গানটি লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করি। ধারণ করি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশকে। আমাদের নতুন প্রজন্ম এই বিষয়গুলিকে যেন তাদের মনে মননে ও মগজে ধারন করেন সেটি মাথায় রেখে কাঁদো বাঙ্গালী আজ কাঁদো সবাই, পঁচিশে মার্চসহ সদ্য লেখা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘বীরাঙ্গনা’ মায়েদের স্মরণ করে সেই মায়েদের সম্মানে লেখা এক অনবদ্য প্রয়াস বীরাঙ্গনা।
বীরাঙ্গনা শিরোনামের গানটি নিয়ে শিগগির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হবে বলেও জানা গেছে। যা নির্মাণ করবেন সৈয়দ তানভীর আহমেদ।