বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ১১ ইনিংসে তিন ফিফটিতে ৪২২ রান করেছেন লিটন দাস। রাজশাহী রয়্যালসের এই মারকুটে ওপেনার দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন, ধারাবাহিকভাবে পাচ্ছেন রান। এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ২৫ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান উঠে এসেছেন চার নম্বরে।
গত কয়েকবছর ধারাবাহিক লিটনকে খুঁজে ফিরেছে বাংলাদেশ। নতুন বছরে তার ব্যাট আশা দেখাচ্ছে নতুন করে। ব্যাটিং নিয়ে ভাবনায় বদল তো এনেছেনই বদলেছেন ব্যাটিং স্ট্যান্স। এসবের পাশাপাশি লিটন মনে করেন বিশ্বকাপের পর বিয়ের পিড়িঁতে বসার পর চিন্তা-ভাবনায় এসেছে পরিপক্কতা।
‘আমি খুব ভাগ্যবান যে কম বয়সে বিয়ে করতে পেরেছি। বিয়ে জিনিসটা আমার পরিনতবোধের লেভেলটা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আমি উপলব্ধি করি। জানি না কে কীভাবে নেয় আমি এই জিনিসটা অনুভব করেছি।’
‘আমি যখন ২০১৬-১৭ তে খারাপ ক্রিকেট খেলেছি তখন জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম। আমি কিন্তু অফফর্মে থাকিনি। ওই জায়গায় আমি অনেক কিছু শিখেছি। ঠেকেছি পাশাপাশি শিখেছি। ওটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আবার বিয়ের পর আবার ম্যাচিউরিটি লেভেল বেড়েছে। সেটা ক্রিকেট হোক, মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে হোক, সবকিছুতেই।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে শনিবার ৪৮ বলে ৭৫ রানের দারুন একটি ইনিংস খেলেন লিটন। জয় থেকে ১৮ রান দূরে রেখে আউট এ ওপেনার। মারেন ১১ চার ও এক ছয়। চাইলে শেষ করে ফিরতে পারতেন ম্যাচটা, ইনিংসটা তাতে হতে পারত আরেকটু বড়।
‘আফসোস তো অবশ্যই থাকবে। আমি যখন আউট হয়েছি তখন বলের থেকে রান অনেক কম লাগত। নট আউট থাকলে ভালো হতো।
লিটন জানান ২২ গজে তার নতুন উপলব্ধির কথা, ‘আমি এর আগে যে কয়েকটি বিপিএল খেলেছি…মারলে মারতেই থাকতাম। আমার পরিকল্পনা থাকতো আমি সব ধরণের শট খেলতে পারি তাই সব শট খেলবো। কিন্তু এই বিপিএলে আমি শট কমিয়ে দিয়েছি। আগের দুই-তিন বিপিএলে হয়তো আমার ১৫ বলে ২৭ বা ৩০ রান থাকত। তখন আউট হয়ে যেতাম। কিন্তু এ বিপিএলে দেখবেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রান ১৫ বলে ১৭ বা ১৩। ওই জায়গাটায় আমি হয়তো স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলছি।’