কক্সবাজারে আত্মীয়ের বিয়েতে অংশ নিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কমিউনিটি সেন্টারে পৌঁছানোর আগেই ওই দুর্ঘটনায় ছেনোয়ারা বেগম (৩৮) এবং সিএনজি চালক মুহাম্মদ জিসান (২২) এর মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ের চান্দের ঘোনা সাতঘরিয়াপাড়া এলাকায় শুক্রবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে কয়েক ঘণ্টা উভয়পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে।
ঈদগাঁও থানার ওসি মো. আবদুল হালিম জানান, রাস্তা পারাপাররত অন্ধকে বাঁচাতে রং সাইডে গিয়ে যাত্রীবাহী পূর্বাণী বাসটির চাপায় সিএনজি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে বাসের ভেতর ঢুকে দু’টি যানবাহন একসাথে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় বাসেরও অনেক যাত্রি আহত হয়েছেন।
সিএনজির অপর যাত্রী আহত আইনজীবী সহকারি শফিকুর রহমান (৩০) ও তসলিমা আকতার (৩২)কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা নিহত ছেনোয়ারার ছোট ভাই-বোন। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক বলে উল্লেখ করেছেন ঈদগাঁও থানার ওসি আবদুল হালিম।
প্রত্যক্ষদর্শী মিছবাহ উদ্দিন, সুরুত আলম ও জাহাঙ্গীর সম্রাট জানান, বিকেল ৪টার দিকে সাতঘরিয়াপাড়া এলাকায় এক প্রতিবন্ধি অন্ধ ব্যক্তি হঠাৎ রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে চট্টগ্রামমূখী পূরবী পরিবহনের একটি বাস রং সাইডে গিয়ে কক্সবাজার অভিমুখী সিএনজিকে চাপা দেয়। দুটি গাড়িই দ্রুত গতিতে থাকায় সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে বাসের ভেতর ঢুকে দু’টি গাড়ি একসাথে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যান চালক ও এক নারী।
খুটাখালীর সমাজকর্মী সেলিম উদ্দিন নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, কক্সবাজার আদালতের আইনজীবীর সহকারি শফিকুর রহমান তার বড়বোন ছেনোয়ারা ও তসলিমা আকতার এবং শিশু সন্তানকে নিয়ে রামুর এক ক্লাবে বিয়েতে যাচ্ছিলেন। এলাকার সিএনজি চালক জিসানকে আসা-যাওয়ার জন্য ভাড়া করে রওনা দিয়ে মাঝপথে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শফিকুর রহমানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
রামু হাইওয়ে থানার এসআই মুজিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। উদ্ধার তৎপরতায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস। পরে অন্য গাড়ির সাহায্যে বাস ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজিটি উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়।