ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আবারো দুধর্ষ বোলিং দিয়ে সবার মন জয় করলো বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। গড়লেন অন্যরকম এক বিশ্বরেকর্ড । জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি পেসার ব্রায়েন ভেটরিকে টপকে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে সর্বাধিক উইকেট শিকারের নজির গড়েছেন বাংলাদেশের এই বিস্ময়-তরুণ।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে পাঁচ ও পাঁচ দশ উইকেট শিকারের একমাত্র রেকর্ড ছিলো জিম্বাবুয়ের ব্রায়েন ভিটোরির। ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে পর পর দুই ম্যাচে দশ উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি পেসার।
চার বছর পর তার সেই রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশের টিন-এজ সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ম্যাচে ৫০ রানে পাঁচ উইকেট নেয়া মুস্তাফিজ ছিলেন ম্যাচ-সেরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ ওভারে ৪৩ রানে ছয় উইকেট। রোহিত শর্মা দিয়ে শুরু। এরপর একে একে রায়না,ধোনি,জাদেজা অশ্বিন কিংবা প্যাটেল,বিশ্বখ্যাত ভারতীয় ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের কাছে এক অপার রহস্য হয়েই রইলেন সাতক্ষীরার ১৯ বছরের এই তরুণ।
ব্রায়েন ভিটোরি তার ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ১০ উইকেট নিয়ে ছিলেন সবার শীর্ষে। রোববার হোম অফ ক্রিকেটে আগের পাঁচের সঙ্গে ছয় মিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন মুস্তাফিজ। প্রথমটির মতো দ্বিতীয় ম্যাচের নায়কও তিনি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্থপতিও এই পেসার।
মুস্তাফিজের আগে দেশের হয়ে ওয়ানডে ম্যাচে সর্বাধিক ছয় উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি ও রুবেল। ২০০৬ এ কেনিয়ার বিপক্ষে নাইরোবিতে মাশরাফি এবং ২০১৩ তে হোম অফ ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেল নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। সেই হোম অফ ক্রিকেটেই মুস্তাফিজের ৬ উইকেট শিকারের ম্যাচ জেতানো স্পেল।
ওডিআইয়ে পরপর দুই ম্যাচে পাঁচ বা তারচেয়ে বেশী উইকেট নেয়ার রেকর্ড আছে অস্ট্রেলিয়ার গিলমোর,হ্যারিস,স্ট্রার্ক এবং পাকিস্তানের আকিব,ওয়াকার সাকলাইন ও আজহার মেহমুদের ।
২৪ জুন সিরিজের শেষ ম্যাচে আরো একটি পাঁচ উইকেট শিকার মুস্তাফিজকে পৌঁছে দেবে অনন্য উচ্চতায় এমন প্রত্যাশা ক্রিকেট প্রেমিদের।