সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার সঙ্গে আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়াতেই বাড়ছে অনলাইন অপরাধ।
এজন্য একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিচারের চেয়ে অপরাধ প্রবণতা রোধ করাই জরুরি।
পাসওয়ার্ড চুরির মাধ্যমে ব্যাংক জালিয়াতি, প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে অনেক। ঘটছে জাতীয় তথ্য চুরির মতো বড় ঘটনাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তার শিকার হয়ে আত্মহননের ঘটনাও ঘটেছে।
শনিবার ‘সাইবার ফরেনসিক সাপোর্ট সেন্টার ও সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি/ডিপার্টমেন্ট তৈরির প্রস্তবনা’ শীর্ষক সেমিনারে সাইবার নিরাপত্তায় সমন্বিত উদ্যোগের পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ডক্টর মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে এগিয়ে থাকতে হবে। আমাদের দেশ সীমিত সম্পদের দেশ, অনেক চাহিদার দেশ। কিছু দল বা গোষ্ঠী থাকবেই যারা নানাভাবে দুর্বৃত্তায়ন করতে চাইবে। নানা ভাবে অবৈধ কার্যক্রম চালু রাখবে।
সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম শামসুল আলম বলেন, সারাদেশে শত শত মামলা আছে যেগুলোর তদন্ত চলছে। অবশ্যই পুলিশ ও সংযুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের ট্রাইবুনাল কি চাইছে, আইন কি বলছে সেসব জানতে হবে। তা না হলে আমরা অগ্রসর হতে পারবো না। অপরাধগুলোর বিচার না করতে পারলে অপরাধ আরো বাড়বে।
বাংলাদেশে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একজন সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এই মুহূর্তে প্রয়োজন সাইবার পেট্রোলিং।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, সবাই যে এখন এর গুরুত্ব অনুভব করেছেন সেটাও বড় বিষয়। নানান ভাবে আমরা আক্রমণের শিকার হচ্ছি, তাই এই সমস্যা সমাধানের পথ আমাদেরই বের করতে হবে।
অপরাধী ধরতে পুলিশের জন্য বিশেষ ধরনের ট্র্যকিং-অ্যাপস তৈরির কথা জানিয়ে বক্তারা বলেন, সাইবার জগতে অপরাধীরা সক্রিয় তাই তাদের সঙ্গে পেরে উঠতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও প্রস্তুত হতে হবে।