চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিসিবি নির্বাচন ৬ অক্টোবর

আগামী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে বিসিবি।

তফসিল অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে বুধবার। বৃহস্পতিবার খসড়া ভোটার তালিকার উপর আপত্তি গ্রহণ ও শুনানি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র বিতরণ হবে ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর।

মনোনয়নপত্র দাখিল ২৭ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে তার পরেরদিন। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হবে, তাদের আপিল গ্রহণ ও শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর। ৩০ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর ৬ অক্টোবর মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে নির্বাচন হবে।

এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর, অর্থাৎ ভোটার ১৭১ জন। যাদের মধ্যে থেকে ২৫ জন হবেন বিসিবি পরিচালক। পরবর্তীতে সেখান থেকে বিসিবি সভাপতি মনোনীত হবেন। প্যানেল ছাড়া লড়বেন নাজমুল হাসান পাপন।

মঙ্গলবার বর্তমান কমিটির সবশেষ সভা শেষে সদ্যবিদায়ী বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানান প্যানেল ছাড়াই লড়বেন তিনি। দুবারের সভাপতি আগের দুই মেয়াদে প্যানেল নিয়ে নির্বাচন করলেও এবার কেন এককভাবে নির্বাচন করবেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

‘আমার কোনো প্যানেল নেই। যে খুশি দাঁড়াতে পারে। ইলেকশন হবে, যে জিতে আসতে পারে। ওখানে যদি আমি জিতে আসি তাহলে একজন পরিচালক হয়ে আসবো। এরপর আমার প্রথম আবেদন যেটা থাকবে, আমি সভাপতি হতে চাই না। কিন্তু সমর্থন দেয়ার জন্য আছি। এরপর কী হয় আমি জানি না। প্রত্যেকবার প্যানেল থাকে, প্যানেল দিলে আর কেউ দাঁড়ায় না। এখন কেউ বলতে পারবে না সে আমার প্রার্থী।’

‘আমি যদি এখানে (বিসিবি) থাকি, আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে যে আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত এ পদটায় (সভাপতি) কেউ দাঁড়াবে না, এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। বোর্ডে যারাই আসে তারা আমাকে চ্যালেঞ্জ জানাক। কেউ বলুক, সভাপতি হতে চাই, কেউ তো বলেও না! এটা ভালো সাইন নয়। কারো জন্য কিছু আটকে থাকে না। আমাদের একটা পাইপলাইন থাকা উচিত যেখানে নতুন নেতৃত্ব আসবে। নেতৃত্ব দেয়ার মতো লোক আছে। কিন্তু দুঃখজনক হল, কেউ আসতে চায় না। প্যানেল দিলে হয় কী কেউ দাঁড়ায়ই না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন উন্মুক্ত থাকুক।’