বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল পাঁচটায়। সন্ধ্যায় বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। বুধবার সকাল ১০টায় মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে শুরু হয় ভোটের আনুষ্ঠানিকতা।
আগামী চার বছরের জন্য বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ হবে ২৫ সদস্যের। যাদের ২৩ জন আসবেন তিনটি ক্যাটাগরি থেকে। বাকি দুজন পরিচালক সরাসরি আসবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে। তারা হলেন- আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস।
২৩ পরিচালকের সাত জনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না শুরু থেকেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক হয়েছেন- আ জ ম নাছির উদ্দীন ও আকরাম খান (চট্টগ্রাম বিভাগ), কাজী ইনাম আহমেদ ও শেখ সোহেল (খুলনা বিভাগ), শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (সিলেট বিভাগ), এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম (রংপুর বিভাগ) ও আলমগীর খান আলো (বরিশাল বিভাগ)।
তিনটি ক্যাটাগরিতে বাকি ১৬ পদে নির্বাচন হলেও ঢাকা বিভাগে কার্যত নামমাত্র নির্বাচন হল। এই বিভাগে দুটি পদের জন্য শেষ পর্যন্ত চার থেকে কমে প্রার্থী হয়েছেন দুজন। তারা- নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও তানভির আহমেদ টিটু।
এখানে আরও দুজন প্রার্থী ছিলেন- একজন খালিদ হোসেন, অন্যজন সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম। ব্যালটে থাকবে চারজনের নামই। কেননা মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তারা নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তাতে নাঈমুর রহমান ও তানভির আহমেদের বিজয় একরকম নিশ্চিত।
বিসিবি পরিচালক হতে পুরনোদের সঙ্গে এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন কয়েকজন নতুন মুখও। তবে বাস্তবিক অর্থে নির্বাচন হল গুটিকয়েক পদের জন্য।
রাজশাহী বিভাগে একটি পদের জন্য লড়েন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। প্রথমবার তিনি পরিচালক পদে নির্বাচন করলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী। যিনি গত মেয়াদে পরিচালক ছিলেন।
লড়াই জমেছে তিন নম্বর ক্যাটাগরিতে। যেখানে একটি পদ। বড় চমক দেখিয়ে প্রার্থী হয়েছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সাবেক ন্যাশনাল ম্যানেজার ও বিকেএসপির কোচ, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচন করলেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, গেল মেয়াদের বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।
বিসিবি নির্বাচনে কাউন্সিলর ১৭১ জন হলেও ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রায় চার-তৃতীয়াংশ ভোটার। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়াতে নিয়ম অনুযায়ী সেখানকার কাউন্সিলদের ভোট নেয়া হয়নি।
করোনার কারণে প্রায় অর্ধেক ভোটার ই-ভোট ও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কাউন্সিলররা সচেতন থাকলেও তাদের সমর্থনে আসা শত শত সমর্থকদের মাঝে ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
বিকাল ৫টার পর শুরু হয়েছে ভোটগণনা। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্ট অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি এম ফরহাদ হোসেন। নির্বাচন কমিশন পাঁচ সদস্যের। তাদের মধ্যে আছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।