বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়সসীমা (৩০ বছর) সংশোধন করে কেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়সসীমার (৩২ বছর) সমান করা হবে না – তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও বিসিএসএ-এর বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের ‘বিধিমালা ২০১৪’ এর ১৪ বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না; রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আইন সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন সচিব, শিক্ষা সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৩০ বছর বয়স অতিক্রম হয়ে যাওয়া ছয় ব্যক্তির করা রিটের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো.ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করে ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বয়সসীমা এক্ষেত্রে ৩০ আবার অন্যক্ষেত্রে ৩২; এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে – প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে। আদালত আমাদের এসব যুক্তি শুনার পর রুল জারি করেছেন।’