বণার্ঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ শনিবার পালিত হয়েছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
‘মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি এবং নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপী ইউনিট যৌথভাবে দিবসটি পালন করেছে।
মানববন্ধন, উন্মুক্ত সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকতা-কর্মচারিদের অংশগ্রহণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্যের উপর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল ১১টায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে উন্মুক্ত সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ।
এছাড়াও দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিভিন্ন কর্মশালা। এতে বৈবাহিক দ্বন্দ্ব, রাগ নিয়ন্ত্রণ, কিশোর কিশোরীদের আবেগজনিত সমস্যা এবং ভালবাসার সম্পর্কে দ্বন্দ্বের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কলেজ ও বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আরও আয়োজন করা হয় সারাদেশ ব্যাপী রচনা প্রতিযোগিতার।
এছাড়াও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২৭ অক্টোবর সারাদিন ব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ধারণা ও সচেতনতা কিছুটা বাড়লেও চাহিদার তুলনায় সার্বিক সেবার মান ও পরিমাণ নিতান্ত অপ্রতুল। দেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে কর্মরত জনশক্তি প্রতি ১ লাখে মাত্র ০.৪৯ জন। আর এ বিষয়ে বরাদ্দ বাজেট প্রয়োজনের তুলনায় কমে মোট স্বাস্থ্য বাজেটের শতকরা ০.০৫ ভাগে এসে ঠেকেছে।
অথচ আঠারো বছরের নিচের শিশু-কিশোরদের শতকরা ১৮.৪ জন এবং আঠারো বছরের উর্দ্ধে প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের শতকরা ১৬ জন কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।