চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ‘পরিণতি’ই দেখল জার্মানি

কেবল ২০০৬ ব্যতিক্রম। লাতিন জায়ান্ট ব্রাজিল সেবার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে এসে গ্রুপপর্বের বাধা পেরিয়েছিল। এর আগে-পিছে যে চার বিশ্বচ্যাম্পিয়নই পরেরবার খেলতে নেমে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। সবগুলোই ইউরোপিয়ান দেশ। যার শেষ নামটি জার্মানি।

জার্মানি ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে জার্মানরা। রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে গেল।

চক্রটা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে দিয়ে। পরেরবার সাউথ কোরিয়া ও জাপানের যৌথ আয়োজনের বিশ্বকাপে ডেনমার্ক, সেনেগাল এবং উরুগুয়ের গ্রুপে পড়েছিল ফরাসিরা। সেনেগালের বিপক্ষে ১-০তে হার, উরুগুয়ের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র আর ডেনমার্কের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে বাড়ির পথ ধরে ফ্রেঞ্চরা। ডেনমার্ক গ্রুপসেরা ও সেনেগাল রানার্সআপ হয়ে পরের পর্বে যায়। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল।

পরেরবার জার্মানিতে ২০০৬ বিশ্বকাপে এসে ব্রাজিল অস্ট্রেলিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও জাপানের গ্রুপে পড়ে তিন ম্যাচের তিন জয়েই গ্রুপপর্বের বাধা টপকায়। পরে কোয়ার্টারে ফ্রান্সের কাছে ১-০তে হেরে বিদায় নেয়। সেটাই ব্যতিক্রম। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি।

ইতালি ২০১০ বিশ্বকাপে আসে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। সাউথ আফ্রিকায় এসে প্যারাগুয়ে, স্লোভাকিয়া ও নিউজিল্যান্ডের গ্রুপে পড়ে। এক ম্যাচে হেরে যাওয়ার সঙ্গে দুই ড্রতে বাড়ির টিকিট কাটে আগেরবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-১এ ড্র, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একই স্কোর আর স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলের পরাজয়ে বিদায় নেয়। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন।

ব্রাজিলে ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলতে নেমে নেদারল্যান্ডস, চিলি আর অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপে পড়ে আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি স্প্যানিশরা। চিলির বিপক্ষে ২-০তে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিতেও গ্রুপের তিনে থেকে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায় ফেভারিট স্পেনের। চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি।

জার্মানি সে পথেই হাঁটল। সুইডেনের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ছাড়া, ম্যাক্সিকোর বিপক্ষে ১-০ গোলের হার আর শেষ ম্যাচে সাউথ কোরিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের পরাজয়ে বাড়ির পথ ধরল পরাক্রমশালী জার্মানরা।