বিশ্বের অন্তত ৯৯টি দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হওয়া সাইবার হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথকেয়ার সার্ভিসেস (এনএইচএস)। এই সংস্থাটির সার্ভারেও র্যানসামওয়্যার জাতীয় টুলের হামলার ফলে ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
এমনকি হৃদরোগসহ বিভিন্ন সমস্যার সার্জারিও বন্ধ রয়েছে অনেকখানেই।
বিবিসি জানায়, ইংল্যান্ডে এনএইচএসের কমপক্ষে ৩৯টি সংগঠনের এই সাইবার হামলায় ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি স্কটল্যান্ডে ৫টি জিপি (জেনারেল ফিজিশিয়ান) সার্জারি ব্যাহত হয়েছে এই হামলায়। আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জিপি এবং ডেন্টাল – দু’ধরণের সেবাদানকারী হসপিটাল ট্রাস্টই রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে নিশ্চিত করেন, এই সবগুলো হামলা বিশ্বব্যাপী হওয়া র্যানসামওয়্যার হামলারই অংশ। সরাসরি শুধু এনএইচএস’কে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়নি।
এই সাইবার হামলার কারণে কম্পিউটার সার্ভারে তথ্য আদানপ্রদান করতে না পেরে চিকিৎসকরা অনেক ক্ষেত্রেই কাগজকলম দিয়ে আপাতত কাজ চালাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। হামলায় আক্রান্ত বেশ কিছু হাসপাতাল থেকে রোগীদের আক্রমণের শিকার হয়নি এমন অন্যান্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে এবং সার্জারি করাতে সমস্যা হওয়ায়।
শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোররাত পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ৯৯টি দেশে এই সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) তৈরি একটি সফটওয়্যার টুল দিয়েই হামলাটি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলাকারীরা ‘র্যানসামওয়্যার’ জাতীয় এই টুল ছড়িয়ে হাজারো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। এরপর সেই নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের ফিরিয়ে দিতে ডিজিটাল মুদ্রা বা ‘বিটকয়েনের’ মাধ্যমে তারা কম্পিউটার প্রতি ৩০০ ডলার করে দাবি করছে। ‘ওয়ানাক্রাই’সহ বিভিন্ন নামে ছড়িয়ে পড়ে কম্পিউটার দখল করছে এই র্যানসামওয়্যার।
তবে রোগীদের কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত ফাঁস হওয়ার বা নষ্ট হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে এনএইচএস ডিজিটাল।