যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার কিছু সময় পরই একসঙ্গে বিশ্বজুড়ে ওবামার নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূতদের চাকরিচ্যুত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ তাদের পরিবর্তে রাষ্ট্রদূত কারা হবেন সেটাই ঠিক করা হয়নি!
বিশ্বব্যাপী নারীদের সমস্যা বিষয়ক দূতসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র, সংস্থা এবং ইস্যুভিত্তিক মোট ৮০ জনের মতো আমেরিকান দূতকে একসঙ্গে ছাঁটাই করা হলো।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে ক’জন কূটনীতিককে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন, ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্পের নির্দেশে তাদেরকে যার যার স্থানীয় সময় ২০ জানুয়ারি দুপুরের মধ্যে নিজ নিজ কার্যালয় ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এই সময় আর বাড়ানো হবে না বলেও স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর ট্রাম্পের সরকার গঠনপূর্ব প্রশাসনিক দল বা ট্রানজিশন টিম জানিয়েছিল, অন্যান্য প্রেসিডেন্টরা সময় দিলেও শপথ গ্রহণ দিবসের পর নিয়োগকাল বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রদূতদেরকে কোনো রকম আবেদন করার সুযোগ দেয়া যাবে না। এমনকি শিশু সন্তান আছে এমন রাষ্ট্রদূতের ক্ষেত্রেও নিয়মটি শিথিলযোগ্য নয়।
সরকার বদলের পর রাজনৈতিকভাবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা নতুন প্রশাসনের কাজ শুরুর প্রথম দিকেই সাধারণত পদত্যাগ করেন। এটা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির অনেক পুরনো একটি অলিখিত প্রথা। তবে এভাবে কোনো রকম বিকল্প ছাড়া বহু সংখ্যক কূটনীতিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ঘটনা খুবই কম।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই মার্কিন দূতাবাস মাসের পর মাস থাকবে সিনেট নির্দেশিত কোনো কূটনীতিক ছাড়াই। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্পর্শকাতর সম্পর্ক রয়েছে – এমন দেশসহ আরও বহু দেশে মার্কিন কার্যালয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হারাতে যাচ্ছে।