ওয়েব ভিডিও জগতে আধিপত্য বিস্তার করছে নেটফ্লিক্স। ১০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ নেটফ্লিক্স ব্যবহার করেন । সারা পৃথিবীর মানুষ ধীরে ধীরে বড় পর্দায় অভ্যস্ততা হারিয়ে ঝুঁকছে নেটফ্লিক্সের প্রতি। আর তাই বলা হচ্ছে যে সিনেমাহলগুলো ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে নেটফ্লিক্সের জন্য।
নেটফ্লিক্স একটি মার্কিন বিনোদনধর্মী প্রতিষ্ঠান। রিড হ্যাস্টিংস এবং মার্ক রেন্ডোল্ফ ১৯৯৭ সালের ২৯শে আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের স্কটস ভ্যালি শহরে নেটফ্লিক্স তৈরি করেন।
নেটফ্লিক্সের সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লা গ্যাটস শহরের ১০০ উইনচেস্টার সার্কেলে অবস্থিত। এছাড়াও তাদের আরো কয়েকটি কার্যালয় রয়েছে, যেগুলো নেদারল্যান্ডস, ব্রাজিল, ইন্ডিয়া, জাপান এবং উত্তর কোরিয়া-তে অবস্থিত। লস আঞ্জেলেসে আছে নেটফ্লিকের বিলাসবহুল ‘আইকন’ বিল্ডিং।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টার সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের লস আঞ্জেলেসে অবস্থিত ‘আইকন’ বিল্ডিং এর ওয়েটিং রুমের বর্ণনা দিয়েছেন যেখানে এখন হলিউডের সব নামী তারকা এবং বিশ্বের দামী সব মিউজিসিয়ানের আনাগোনা থাকে। নেটফ্লিক্সের এই আইকন বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়েছে ২০১৭ সালে।
লবিতে ঢোকার পথেও আছে ৮০ ফুট বাই ১২ ফুটের বিশাল স্ক্রিন। দর্শনার্থীদের মনে হবে তারা যেন নেটফ্লিক্সের কোনো শো-এর ভেতরেই আছেন। আরেকটি দেয়াল ঢেকে দেয়া আছে ৩৫০০ গাছে। গাছের দেয়ালের পেছনে আছে ১২০ সিটের থিয়েটার।
নেটফ্লিক্সের ৪৭৮০ ফুটের এই লবি এখন টাউন হলে পরিণত হয়েছে। এখানে আসলে তারকা এবং নির্মাতাদের মিউজিসিয়ান এবং রাজনীতিবিদদের সঙ্গে গল্প করতে দেখা যায়। সবাই একই জায়গায়, একই সোফায় বসে একই খাবার খায়। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ অতিথি এসে নেটফ্লিক্সের লবির আধুনিক ডিজাইনের সোফাগুলোতে বসে মিটিং করেন।
খিদা পেলেও সমস্যা নেই এই লাউঞ্জে। আছে স্টাইলিশ ওয়েটার। যাদেরকে বললেই এনে দিবে স্টারবাকস স্টাইলের কফি এবং চা। সাথে থাকবে ক্যারামেল সিরাপ কিংবা মধু। আরও থাককে স্ন্যাকস। বাথরুমে থাকে পাঁচ তারকা হোটেলের বাথরুমের মতো সব সুবিধা। টুথব্রাশ, মাউথ ফ্রেশনার, মিন্ট সবই আছে সেখানে।
তবে মেগা ভিআইপিদেরকে লবিতে বসানো হয়না। তাদের জন্য আছে আলাদা জায়গা। মেগা ভিআইপিদেরকে নেটফ্লিক্সের গোপন টানেল দিয়ে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্কিং এবং নেটফ্লিক্সের কর্মীদের জন্য তৈরি এলিভেটরের মাঝখান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই টানেল। বারাক ওবামা যখন এসেছিলেন তখন তাকে নেটফ্লিক্সের লবি দিয়ে নেয়া হয়নি। সরাসরি টানেল দিয়ে ভেতরে চলে গেছেন। -নিউইয়র্ক টাইমস