পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরে পদার্পণ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন শহর। আতশবাজি, আলোকসজ্জাসহ বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। তবে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ থাকায় এবারের বর্ষবরণ স্বাভাবিক সময়কালের চেয়ে অনেকটাই রঙ হারিয়েছে।
বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে ২০২২ সালকে স্বাগত জানায় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর। ঘড়ির কাটা রাত ১২টা স্পর্শ করতেই প্রায় এক হাজার ফুট উচ্চতার স্কাই টাওয়ার আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তবে বিধিনিষেধ থাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেশকিছু আলোক প্রদর্শনী বাতিল করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার।
আতশবাজিতে বর্ণিল হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্নের মত শহরগুলো। সীমিত সংখ্যক নাগরিক এসব আয়োজনে অংশ নিলেও আতশবাশি আর আলোর ঝলকানিতে নতুন বছরে প্রবেশ করেছে দেশটি। বিশ্বজুড়ে অনেক শহরই নি:শব্দে উদযাপন করতে যাচ্ছে নতুন বছরকে। উৎসবের রাতের চেনা দৃশ্য পাল্টে গেলেও নতুন বছরে প্রবেশ করতে প্রস্তুতি চলছে ইউরোপ জুড়ে। মহামারি বছরের আধার পেরিয়ে নতুন বছরে নতুন সূর্যের আশায় বিশ্ব।
এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরকে বরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় অনেক মানুষের সমাগম হয়েছে। ইংরেজি নববর্ষ বরণকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ষবরণকে ঘিরে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, পটকাবাজি, অশোভন আচরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না করতে অনুরোধ জানানো হয়। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে সব অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে।
ইংরেজি নববর্ষ বরণ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নির্ধারিত অনুষ্ঠান উদযাপন করতে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।