সম্ভাবনা খুবই কম! ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টসও জানেন নির্ধারিত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে ঝুঁকি আছে বেশ। এরপরও তার আর্জি, বিশ্বকাপ যেন সম্ভাব্য সময়েই মাঠে গড়ায়। না হলে আয়োজক হিসেবে বিশাল ক্ষতির মুখে যে পড়ে যাবে বোর্ডটি।
‘আমরা আশাবাদী যে নির্ধারিত অক্টোবর-নভেম্বর মাসেই হবে বিশ্বকাপ। কিন্তু একইসঙ্গে এটাও বলতে হবে, ওই সময়ে ভীষণ ঝুঁকিও নিতে হবে।’
সিএ প্রধানের আর্জিতেই কিনা, বিশ্বকাপ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বৃহস্পতিবারের আইসিসি বোর্ড সভায়। ২০২০ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য জানা যাবে আসছে ১০ জুন।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য। এই বিশ্বকাপ থেকে অন্তত ৮ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার কম আয় হবে সেটা ধরেই নিয়েছে সিএ। এমনকি বিশ্বকাপ হলেও এ ক্ষতিটা হবে, কারণ খেলা দেখতে মাঠে আসতে পারবে না দর্শকরা।
দর্শকবিহীন বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি অন্তত ৫ কোটি ডলার। তারপর বিশ্বকাপের অন্যান্য ক্ষতি মিলিয়ে লোকসানটা ২ কোটি ডলার বাড়বে। খেলোয়াড়দের জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে খরচ আরও ১ কোটি বাড়বে। মোটের উপর অঙ্কটা বিশালই।
বিশ্বকাপ নিয়ে হতাশা থাকলেও কেভিন রবার্টসের বিশ্বাস ভারতের বিপক্ষে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সময়মতই মাঠে গড়াবে। সেই সিরিজ উপলক্ষে ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, সিডনি ও মেলবোর্নকে ভেন্যু ঠিক করে রাখার কথাও জানিয়েছেন সিএ প্রধান।