চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিশ্বকাপের ইতিহাসে রাশিয়ার রেকর্ডটা এখন দুইয়ে

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭০ নম্বরে থাকলে কি হবে, বিশ্বকাপ ঘরের মাঠে, সেই আত্মবিশ্বাসে তুঙ্গে থাকা রাশিয়া বিশ্বকাপ ইতিহাসের উদ্বোধনী ম্যাচের সব রেকর্ড ওলট-পালট করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ৫-০ গোলে সৌদি আরবকে বিধ্বস্ত করে স্বাগতিক দেশ হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচে ইতিহাসের দ্বিতীয় বড় জয়ের রেকর্ড ঘরে তুলেছে রাশানরা।

এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে ২১টি আসরের মধ্যে স্বাগতিক দেশ হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচে সবচেয়ে বড় জয়টি ইতালির দখলে। আজ্জুরিরা ১৯৩৪ সালে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল আমেরিকাকে। তার ৮৪ বছর পর স্বাগতিক দেশ হিসেবে ৫-০ গোলের দ্বিতীয় বড় জয় তুলে নিল রাশিয়া।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

স্বাগতিক দেশ হিসেবে তৃতীয় বড় জয়ের রেকর্ডের দখলদার ব্রাজিল। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক দেশটি উদ্বোধনী ম্যাচে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হারায় মেক্সিকোকে।

ইতালিতে অনুষ্ঠিত ১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের একটি রেকর্ডে এখনো কেউ ভাগ বসাতে পারেননি। আমেরিকার বিপক্ষে ৭-১ গোলের জয়ে স্বাগতিক স্ট্রাইকার অ্যাঞ্জোলো শিয়াভিয়ো হ্যাটট্রিক করেছিলেন। যা এখনো কোনো আয়োজক দেশের খেলোয়াড় উদ্বোধনী ম্যাচে করে দেখাতে পারেননি।

১৯৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল উরুগুয়েতে। স্বাগতিক দেশ হিসেবে সেবার উরুগুয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারায় পেরুকে।

১৯৩৪ সালে স্বাগতিক দেশ হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচে সবচেয়ে বড় জয় পায় ইতালি। তারা ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে আমেরিকাকে।

১৯৩৮ সালে আয়োজক ফ্রান্স। স্বাগতিক দেশ হিসেবে তারা উদ্বোধনী ম্যাচে বেলজিয়ামকে ৩-১ ব্যবধানে হারায়।

১৯৩৪ সালে স্বাগতিক ইতালির বিশ্বকাপ দল

১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালের বিশ্বকাপ প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বন্ধ রাখা হয়।

১৯৫০ সালে বিশ্বকাপের আয়োজন করে সাম্বার দেশ ব্রাজিল। স্বাগতিক ব্রাজিল সেবার উদ্বোধনী ম্যাচে ৪-০ গোলে মেক্সিকোকে হারায়।

১৯৫৪ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক সুইজারল্যান্ড। উদ্বোধনী ম্যাচে তারা ২-১ গোলে ইতালিকে পরাজিত করে।

১৯৫৮ সালে সুইডেনে বিশ্বকাপের আসর বসে। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকরা ৩-০ গোলে মেক্সিকোকে পরাজিত করে।

১৯৬২ সালে বিশ্বকাপ আয়োজকন করে চিলি। উদ্বোধনী ম্যাচে ৩-১ গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারায় চিলিয়ানরা।

১৯৬৬ সালে আয়োজক ইংল্যান্ড। স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো জয়বঞ্চিত হয় ইংল্যান্ড। উরুগুয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে তারা।

১৯৭০ বিশ্বকাপের আয়োজক মেক্সিকো। আয়োজন করে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে জয়বঞ্চিত হয় তারা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র নিয়েই ঘরের মাঠের সমর্থকদের হতাশায় পোড়ায় তারা।

ইতালির স্ট্রাইকার শিয়াভিয়ো, স্বাগতিকদের উদ্বোধনী ম্যাচে একমাত্র হ্যাটট্রিকের মালিক

১৯৭৪ সালে ওয়েস্ট জার্মানিতে বসে বিশ্বকাপের আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে তারা ১-০ গোলে চিলিকে পরাজিত করে।

১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপের আসর বসে ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার দেশ আর্জেন্টিনায়। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকরা ২-১ গোলে হাঙ্গেরিকে হারায়।

১৯৮২ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক স্পেন। বিশ্বকাপ ইতহাসে প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে হন্ডুরাসের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে স্প্যানিশরা।

১৯৮৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজক হয় মেক্সিকো। সেবার উদ্বোধনী ম্যাচে ২-১ গোলের ব্যবধানে বেলজিয়ামকে হারায় স্বাগতিকরা।

১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজক হয় ইতালি। উদ্বোধনী ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় তুলে নেয় আজ্জুরিরা।

১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপের আসর অনুষ্ঠিত বসে আমেরিকায়। উদ্বোধনী ম্যাচে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ১-১ গোলে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে তারা।

১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ফ্রান্স। উদ্বোধনী ম্যাচে ফ্রেঞ্চরা ৩-০ গোলে হারায় সাউথ আফ্রিকাকে।

২০০২ সালে বিশ্বকাপের যৌথভাবে আয়োজক হয় সাউথ কোরিয়া ও জাপান। সাউথ কোরিয়া তাদের উদ্বোধনী ম্যাচে পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারায়। অন্যদিকে জাপান তৃতীয় দেশ হিসেবে ২-২ গোলের ব্যবধানে বেলজিয়ামের সঙ্গে ড্র করে মাঠে ছাড়ে।

২০০৬ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক হয় জার্মানি। উদ্বোধনী ম্যাচে ৪-২ গোলে কোস্টারিকা হারায় জার্মানরা।

২০১০ সালের বিশ্বকাপের আসর বসে সাউথ আফ্রিকায়। ঘরের মাঠে উদ্বোধনী ম্যাচে চতুর্থ দেশ হিসেবে মেক্সিকোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে আফ্রিকানরা।

২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজক হয় কালোমানিক খ্যাত পেলের দেশ ব্রাজিল। উদ্বোধনী ম্যাচে সেলেসাওরা ৩-১ গোলে হারায় ক্রোয়েশিয়াকে।