আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত প্রদর্শনী দেখিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম কোনো বহুজাতিক সিরিজের ট্রফি এনে দেয়ার পথে ধারাবাহিক ছিলেন সৌম্য-সাকিব-মাশরাফীরা। আইসিসির সবশেষ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সেটির প্রভাব পড়েছে। ব্যাটিংয়ে ১০ ধাপ এগিয়েছেন সৌম্য, অলরাউন্ডারের শীর্ষে ফিরেছেন সাকিব, বোলিংয়ে ৮ ধাপ উন্নতি মিরাজের, আর মাশরাফী এগিয়েছেন ৪ ধাপ।
ডাবলিনের ফাইনালে ঝড়ো ফিফটি করে বাংলাদেশের শিরোপার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন সৌম্য। তার আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ছিলেন বিশ্রামে। গ্রুপপর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচেই ফিফটি। সবমিলিয়ে টানা তিন ফিফটি, সৌম্য সরকার তাতে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন ১০ ধাপ। বাঁহাতি ওপেনারের অবস্থান এখন ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ২৮ নম্বরে।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সেরা অবস্থানটি মুশফিকুর রহিমের। মিডলঅর্ডার ভরসা আছেন র্যাঙ্কিংয়ের ২০ নম্বরে। একধাপ পরেই ২২-এ আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। সাকিব আল হাসান আছেন ৩২ নম্বরে।
ফিফটির দুই ধাপ আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাব্বির রহমান ৭৫, মোহাম্মদ মিঠুন ৯৬ আর লিটন দাস আছেন ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ের সেরা একশর (৯৮) মধ্যে।
টাইগার বোলারদের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ অফস্পিনার ৮ ধাপ এগিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের ২২-এ আছেন যৌথভাবে অজি পেসার মিচেল স্টার্কের সাথে।
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই তিনটি করে উইকেট নেয়া মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ৪ ধাপ এগিয়েছেন। অধিনায়কের অবস্থান এখন র্যাঙ্কিংয়ের ২৪ নম্বরের।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সেরা অবস্থানটি অবশ্য মোস্তাফিজর রহমানের, আছেন ১১ নম্বরে। সাকিব আরও দুই জনের সঙ্গে যৌথভাবে ১৯-এ, রুবেল ৬৩তে ছাড়া সেরা একশতে নেই আর কোনো টাইগার বোলার।
সেখানে ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডারের সিংসাহনে ফিরেছেন ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত খেলা সাকিব। দুইয়ে ঠেলে দিয়েছেন আফগানিস্তানের সহ-অধিনায়ক রশিদ খানকে। আয়ারল্যান্ডে তিন ম্যাচে অপরাজিত দুই ফিফটিতে ১৪০ রান করেছেন সাকিব, বল হাতে নিয়েছেন দুই উইকেট।
চোটের কারণে অবশ্য শিরোপাজয়ী ফাইনালে খেলা হয়নি তার। শীর্ষে ওঠার মতো পয়েন্ট মিলে গেছে তাতেই। বর্তমান অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের পয়েন্ট ৩৫৯। দুইয়ে থাকা রশিদের পয়েন্ট ৩৩৯।