চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের আগেই অ্যাশেজ নিয়ে তোড়জোড় ইংল্যান্ডের

মোটা ব্যাট যেমন পছন্দ ব্যাটসম্যানদের, তেমনি কিছুটা সুইং করানো সহজ এমন বল পেলে হামলে পড়েন পেসাররা। আসছে অ্যাশেজে পেসারদের সেই সুবিধাটা দিতে চায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিতে তাই পেসসহায়ক লাল বল অর্ডার করেছে বোর্ডটি!

কীরকম বল হবে অ্যাশেজের? ইসিবির চাহিদাপত্র অনুযায়ী বলের সিম হতে হবে বেশ স্পষ্ট ও উজ্জ্বল। পেসাররা যেন সিম ধরে স্বস্তি বোধ করেন সেদিকেই নজর বোর্ডের। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে টেস্ট সিরিজগুলোতে এ ধরনের সিমের বল ব্যবহার করে সাফল্য পায় ইংল্যান্ড। বিশেষ করে জেমস অ্যান্ডারসন। সময়গুলোতে মাত্র ১৬.০৬ গড়ে একেকটি টেস্ট উইকেট নিয়েছেন ইংলিশ পেসার। ইংল্যান্ড পেয়েছে সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সাফল্য।

আবার কাউন্টি ক্রিকেটে কিছুটা অনুজ্জ্বল সিমের পেস বলেরও পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হয়েছে। ফলাফল, সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি রানের বন্যা বয়ে গেছে কাউন্টি ক্রিকেটে। অবশ্য উইকেট ও রানের সামঞ্জস্য রাখতেই মৌসুমের শুরুতে কাউন্টি ক্রিকেটে এই বলের ব্যবহার শুরু করে ইসিবি।

পেসারদের সুবিধা দিতে গিয়ে আবার উল্টো নিজেরাও ফাঁদে পড়তে পারে ইংল্যান্ড। পূর্ণ শক্তির অস্ট্রেলিয়ান পেস আক্রমণ যেকোনো ক্রিকেট দলের জন্য বিভীষিকাময়। আর তাদের হাতেই যদি সুইং সিমের বল তুলে দেয়া হয় তাহলে তো কথাই নেই! নিজেদের বলে, নিজেদের মাঠে ঘায়েল হয়ে যেতে পারে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।

তবে দুই পক্ষ সমান শক্তিশালী হওয়ায় দারুণ এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় ইংলিশ বোর্ড পরিচালক অ্যাশলে জাইলস। জমজমাট লড়াইয়ে অ্যাশেজের প্রতিটি টেস্টে পাঁচদিন পর্যন্ত টিকেট বিক্রির আশা করছেন ইংলিশদের সাবেক স্পিনার।

‘টেস্ট মানে দুইদিনে খেলা শেষ হওয়া নয়। আমরা অন্তত সুন্দর একটা প্রতিযোগিতা দেখতে পাবো। আমাদের ভাবনা হল, বর্তমান টেস্ট বলটা গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাটসম্যানদের বেশি সুবিধা দেয়।’

‘বর্তমান সময়টাতে আমরা বেশকিছু দারুণ টেস্ট সিরিজ দেখেছি। এরমানে এমনও কিন্তু নয় যে, আমরা দুর্বল পেসের বিপক্ষে খেলেছি। আর অজিদের পেস আক্রমণ বেশ শক্তিশালী।’

‘তবে ঝুঁকিটা নিতেই হচ্ছে, আমরা এই বল দিয়েই এগোতে চাই। আর জিমি অ্যান্ডারসন আমাদের সেরা অস্ত্র। সর্বকালের সেরাদের অন্যতম। আমরা চাই সে যেন ম্যাচে স্বস্তিবোধ করে।’

দুয়ারে বিশ্বকাপ। সেটি ইংল্যান্ডের মাটিতেই। অ্যাশেজ তারও পরে। ইংলিশদের তোড়জোড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ছাইভষ্ম সিরিজের জন্য কতাটা মরিয়া হয়ে ভাবছে তারা।