প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা অন্য রকম একটা দিন পার করলো সারা দিন এবং মেতে উঠেছিলো আনন্দে ।
পরিবেশ সচেতনতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা যাতে প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারে, এজন্য সিআরপি’র স্কুলের শিশুদের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগটি হাতে নিয়েছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডস সিআরপি কার্যক্রম বাংলাদেশে শুরু ১৯৭৯ সালে।
এরপর সিআরপি’র পরিচালনায় উইলিয়াম এন্ড মেরি টেইলর স্কুলে বর্তমানে লেখাপড়া করছে ৩শ’ ২৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী ১শ’ ১০ জন। এসব শিশুদের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে স্কুলটিতে দ্বিতীয়বারের মতো কার্যক্রম করেছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন দলকে স্বাগত জানায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা। প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এ সময় শিশুদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেয় ।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিকাশে এই ধরনের কার্যক্রম বড় ভূমিকা পালন করবে।তিনি আরও বলেন, আমরা প্রকৃতি ও জীবন নিয়ে কাজ করছি। এসব শিশুরা সবসময় চোখের আড়ালে থেকে যায়। তাই বৈশাখের আনন্দ এসব শিশুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়াই ছিল আমাদের মূল প্রয়াস।
সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি টেইলর বলেন, এসব শিক্ষা উপকরণ শিশুদের আরো বেশি উৎসাহিত করবে। স্কুলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে স্বাভাবিক শিশুরা লেখাপড়া করায় বিশেষ শিশুরাও স্বাভাবিক হয়ে উঠছে বলে মনে করেন তিনি।
রন্ধন বিশেষজ্ঞ কেকা ফেরদৌসী এসব শিশুদের হাতে চকলেট ও দুপুরের খাবার তুলে দেন।তিনি বলেন, গত বছর মতো আমরা এবারও শিশুদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটিয়েছি, খাওয়া-দাওয়া ও খেলাধূলা করেছি। আসলে ওরা আমাদের পেয়ে খুব আনন্দিত হয়েছে।
পরে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু’র হাতে সিআরপির বার্ষিক রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়।