বিশাল ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ছয় বছরের জন্য আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে এমন জয় নিশ্চিত করেন বিবিসি।
ভ্লাদিমির পুতিন ১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে আসছিলেন। বিবিসির জরিপে বলা হয়েছে, ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে এই জয় পেয়েছেন। তবে তার আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সই জালিয়াতি ও দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ড ভোগ করায় নির্বাচনে নিষিদ্ধ ছিলেন।
জয় লাভ করার পর মস্কোতে এক সমাবেশে অংশগ্রহণ করে পুতিন বলেন, ভোটররা গত কয়েক বছরের আমার কৃতিত্ব স্বীকার করেছে। মঞ্চেই ৭৭ বছর বয়সী পুতিনকে প্রশ্ন করা হয় এই জয় কি আগাম ছয় বছরের ক্ষমতায় থাকার বার্তা দিচ্ছে? পুতিন বলেন, এটা খুব হাস্যকর একটা প্রশ্ন। তবে আপনারা কি মনে করছেন আমি ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকব? এমন ভাবার কোন কারণ নেই।
২০১২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন ৬৪ শতাংশ ভোটে জয় লাভ করেন। এ বছর প্রায় ১২ শতাংশ বেশি ভোটে তিনি জয় লাভ করেছেন।
এবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের স্লোগান ‘শক্তিমান প্রেসিডেন্ট, শক্তিশালী রাশিয়া’। তিনি নির্বাচন সামনে রেখে কোনো টিভি বিতর্কে তিনি অংশ নেননি। টিভিতে দেখানো হয়নি তাঁর নির্বাচনী প্রচারাভিযানের নতুন কিছু। এরপরও জনমত জরিপগুলো বলছে, ৭০ শতাংশ ভোট পেতে চলেছেন পুতিন। পুতিনের এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী সাতজন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বামপন্থী ধনকুবের পাভেল গ্রুদিনিন, সাবেক টিভি উপস্থাপক কেসেনিয়া সোবচাক। কিন্তু তাঁদের কেউই ৮ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন না—জনমত জরিপগুলোর আভাস ছিল এমনই।
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। রাত আটটা পর্যন্ত একটানা চলে। রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের এলাকাগুলোতে সবার আগে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
সাধারণ রুশদের পাশাপাশি দেশটির তারকাদের ভোট দেওয়া মুহূর্তের অনেক ছবি ও ভিডিও রুশ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।