বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতেও বইছে ভোটের হাওয়া
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের মত ভোটের হাওয়া লেগেছে সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতেও। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া দেশের সর্ব বৃহৎ ছিটমহল কুড়িগ্রামের দাসিয়ার ছড়াসহ ১১১টি ছিটমহলের ভোটারদের মাঝে বিরাজ করছে খুশির আমেজ। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই চলছে ভোট নিয়ে আলোচনা। ছিটবাসীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে এমন সরকারই বেছে নেয়ার কথা জানান তারা। […]
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের মত ভোটের হাওয়া লেগেছে সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতেও। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া দেশের সর্ব বৃহৎ ছিটমহল কুড়িগ্রামের দাসিয়ার ছড়াসহ ১১১টি ছিটমহলের ভোটারদের মাঝে বিরাজ করছে খুশির আমেজ।
চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই চলছে ভোট নিয়ে আলোচনা। ছিটবাসীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে এমন সরকারই বেছে নেয়ার কথা জানান তারা।
দীর্ঘ ৬৮ বছরের বঞ্চনার পর ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট মধ্যরাতে বাংলাদেশ-ভারত ছিট বিনিময় হয়। এতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পায় কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট ও পঞ্চগর জেলার ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলের ৩৭ হাজার ২৬৯ জন মানুষ। এসব ছিটমহলে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রায় ২২ হাজার মানুষ।
এর মধ্যে দেশের সর্ববৃৃহত বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ায় ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ১৭২জন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অন্যান্য ভোটারের সাথে ভোট প্রয়োগ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে পারবেন বলে খুশি দাসিয়ারছড়ার ভোটাররা।
ভোটার হওয়ার পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জীবনের প্রথম ভোট প্রয়োগ করে দেশের সরকার নির্বাচন করতে পারবেন বলে গর্ববোধ করছেন তারা। নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের স্বার্থে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার কথাও জানান তারা।
ছিট বিনিময়ের পর থেকে সরকারি নানামুখী কর্মসূচির আওতায় দেশের উন্নয়নে মূল ধারায় একিভুত হওয়া এসব মানুষের আশা নির্বাচিত নতুন সরকার তাদের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলের ভোটাররা যাতে নিবিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার কথা জানালেন এ নির্বাচন কর্মকর্তা।