চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিলিয়ন ডলার আয় করেও লোকসানে বার্সা

গত ছয় বছরের রাজস্ব আয় ছাড়িয়ে নিজেদের নতুন রেকর্ড গড়েছে বার্সেলোনা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ৯৯০ মিলিয়ন ইউরো (১.১ বিলিয়ন ডলার) আয় করেছে ক্লাবটি। কিন্তু বিলিয়ন ডলার আয় করেও লোকসানে আছে কাতালানরা।

ক্রীড়াঙ্গনের প্রথম ক্লাব হিসেবে গত মৌসুমে বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়ে বার্সা। ওই সময় তাদের আয় ছিল ৯১৪ মিলিয়ন ইউরো (১.০১৯ বিলিয়ন ডলার)। একই পথে হেঁটে টানা দ্বিতীয়বার বিলিয়ন ডলার আয় তাদের।

কিন্তু আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় লোকসানে মেসি-সুয়ারেজদের ক্লাব। গত মৌসুমে বার্সার ব্যয় ৯৭৩ মিলিয়ন ইউরো (১.০৮৫ বিলিয়ন ডলার)। ফলে আগের মৌসুমের লাভ ২০ মিলিয়ন ইউরো থেকে কমে এবার হয়েছে ১৯ মিলিয়ন ইউরো। তবে সামনের মৌসুমে আয় আরো বেড়ে ১০,০০০ মিলিয়ন ইউরো ছাড়াবে বলে অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানিয়েছে ক্লাবটি।

২০১৫ সালের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো করতে পারছিল না বার্সা। গত মৌসুমে ঘরোয়া লিগ জয় ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠায় তাদের টেলিভিশন সম্প্রচারের দাম বেড়েছে।

মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন থেকেও আয় বাড়ছে বার্সার। গত বছর জার্সি স্পন্সরের জন্য জাপানি কোম্পানি রাকুটেনের সঙ্গে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি করে তারা। সেইসঙ্গে অনুশীলন জার্সির স্পন্সর হিসেবে তুর্কি কোম্পানি বেকো’র সঙ্গে ৫৭ মিলিয়ন ইউরোতে তিন বছরের চুক্তি করেছে।

এতোকিছুর পরও বার্সার আয়ের বড় উৎস হয়ে থাকছে খেলোয়াড় বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ। ২০১৭-১৮ মৌসুমে পিএসজির কাছে নেইমারকে ২২২ মিলিয়ন ইউরোয় বিক্রি করে কাতালানরা। আর গত বছর পাউলিনহো, ইয়ারি মিনা ও লুকাস ডিগনেকে বিক্রি করে আয় করে ১০০ মিলিয়ন ইউরো।

ক্রীড়াঙ্গনের ক্লাবগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা ‘ডেলয়েট মানি লিগ’ অবশ্য খেলোয়াড় বেচা-কেনার অর্থ ক্লাবের আয়-ব্যয়ে ধরে না। সে হিসেবে আয়ের দিক থেকে রিয়ালের পরে আছে বার্সা।

‘ডেলয়েট মানি লিগ’র তালিকায় ৭৫০.৯ মিলিয়ন ইউরো আয় নিয়ে সবার উপরে রিয়াল। ৬৯০.৪ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে তাদের পরেই রয়েছে বার্সা। তিন নম্বরে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আয় ৬৬৬ মিলিয়ন ইউরো।