একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন: একাদশ সংসদে বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা নিতান্তই কম। তবে, সংখ্যা দিয়ে আমরা তাদের বিবেচনা করব না। সংখ্যা যত কমই হোক, সংসদে যেকোন সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব/আলোচনা/সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই ভাষণে তিনি নিজ দল আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের কারণ যেমন তুলে ধরেছেন, তেমনি বিএনপির পরাজয়ের কারণও বর্ণনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: একটি সমাজের প্রায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যখন কোন দলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন, তখন তাকে কোনোভাবেই আটকে রাখা যায় না। পক্ষান্তরে আমাদের প্রতিপক্ষ জোটের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে আপনারা ভালভাবেই জানেন। আমি এ নিয়ে কথা বলতে চাই না। তাদের পরাজয়ের বহুবিধ কারণ রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে-
- এক আসনে ৩-৪ জন বা তারও বেশি প্রার্থী মনোনয়ন;
- মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগ এবং দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন;
- নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেই বিষয়ে অনিশ্চয়তা।
শেখ হাসিনা বলেন: নিজেরা জনগণের জন্য কী করবে, সে কথা তুলে ধরতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে ক্ষমতায় গেলে আমাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নিবে-তাদের প্রচারণায় প্রাধান্য পেয়েছে।
তিনি বলেন: সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা ছাড়া নিজেদের সাফল্যগাঁথা তুলে ধরতে পারেনি। তাছাড়া, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী অগ্নি-সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি।
‘সর্বোপরি, বিএনপির ধানের শীষ মার্কায় যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতাদের মনোনয়ন তরুণ ভোটাররা মেনে নিতে পারেনি। তরুণেরা আর যাই হোক স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির পক্ষ নিতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন: এ রকম আরও বহু উদাহরণ দেওয়া সম্ভব, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে যে সাধারণ ভোটারগণ বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন এবং নৌকার অনুকূলে এবার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল।