জাতীয় নির্বাচন সমানে রেখে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও বেশি স্পেস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকালে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন: আমরা স্পেস দেবো। নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, নাশকতার শঙ্কা যদি না থাকে তাহলে তাহলে আমরা স্পেস দেবো। এ প্রসঙ্গে তিনি দীর্ঘ আড়াই বছর পর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের উদাহরণ তুলে ধরেন।
নির্বাচন সামনে জোটের পরিধি বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: রাজনৈতিক জোট থাকলে তার পরিধি বাড়া স্বাভাবিক। সেটা কিভাবে হয় এটা দেখার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
ইলেকশনের দিকে যতো যাবে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের ততো পরিবর্তন হবে। গোটা নির্বাচনীয় সিনারিও নির্বাচন কমিশন ডমিনেট করবে বলে জানান কাদের।
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ছে বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন: সম্প্রতি আমার সঙ্গে অনেক নেতারই ফোনে কথা হয়েছে। আমি বলবো অন্তত ফোনালাপটা থাকলেও রাজনীতিতে সৌজন্যতা বোধটা টিকে থাকবে। এরমধ্যে আমার সঙ্গে কর্নেল অলি, মেজর মান্নান, আব্দুর রবের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। তারা তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশের ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এসময় শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: গতকালের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আজকের এ সভা। মূলত জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি। তারা যেন নিজেরা নিজ নিজ জায়গা থেকে কর্মসূচি গুলো পালন করতে পারে।
আগস্টে শেখ কামাল, ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন রয়েছে। ১৫ আগস্ট রয়েছে। এ উপলক্ষে ১৬ আগস্ট কেন্দ্রীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১৬ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্ট বোমা হামলার দিনটিতে কর্মসূচি পালন কর আওয়ামী লীগ।
যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে।