প্রথমার্ধে ৩ গোল হজম করেও ৪-৩ ব্যবধানে জয়। সোমবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় এই কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশের যুবারা। দেশের ফুটবল ইতিহাসে এমন জয়ের রেকর্ড নেই। শুধু তাই নয় বিশ্ব-ফুটবলেও এমন জয় খুব একটা দেখা যায় না।
রেকর্ডবই বলছে বিশ্বের ক্লাব-ফুটবল হাতেগোনা কয়েকবার এমন জয় দেখেছে। তার মধ্যে অন্যতম ২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। ওই ম্যাচে এসি মিলানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে পিছিয়ে ছিল লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয়ভাবে তারা সমতা ফেরায়। এরপর টাইব্রেকারে জয় পায় দলটি। বাংলাদেশের যুবদলকে জয় পেতে টাইব্রেকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি। নির্ধারিত সময়ের ভেতরই তারা ৪ গোল দিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে। সেই বিবেচনায় লাল-সবুজের জয়টি একটু বেশি বিস্ময়কর।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো আসরের বাইরে এফএ কাপে আরেকটি এমন ম্যাচ আছে। ওয়ান্ডার্সের বিপক্ষে ৩ গোল পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশের মতো ৪ গোল দিয়ে জয় পায় ব্লাকপোল।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৩ কিংবা তার বেশি গোলে পিছিয়ে থেকে ফিরে আসার বিখ্যাত নজির বলতে ২০১২ সালের জার্মানি-সুইডেনের ম্যাচটি। বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে ম্যাচ শেষ হওয়ার ২৮ মিনিট আগ পর্যন্ত ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল জার্মানি। ইব্রোহিমোভিচদের মরণকামড়ে সেদিন ভড়কে যায় জেয়াকিম লো’র ছেলেরা। অন্তিম ঝড়ে ৪-৪ ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচটি!
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম সারোয়ার ইমরান বলছেন দেশের ক্লাব ফুটবলে এমন জয় আছে কি না সেটা তিনি স্মরণ করতে পারছেন না। তবে জাতীয় দল কখনো এমন জয় দেখেনি বলে মন্তব্য তার, ‘আমরা এক কিংবা দুই গোলে পিছিয়ে থেকে জয় পেয়েছি। কিন্তু ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকে জয়ের নজির নেই।’