বাংলাদেশের পথের কাটা কেন উইলিয়ামসনকে ফেরানোর সুযোগ এসেছিল চা-বিরতির আগে। নাঈম হাসানের বলে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ ছাড়েন তাইজুল ইসলাম। তার আগে এ বাঁহাতি টাইগার স্পিনারই এনে দেন ব্রেক থ্রু। ড্যারেল মিচেলকে ফিরিয়ে ভাঙেন জমে ওঠা জুটি।
অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরে ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারি এগিয়ে খেলার চেষ্টা করেন মিচেল। টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। ১৬৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। পরে সবচেয়ে বড় সুযোগটি আসে। তবে তা লুফে নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
ব্যক্তিগত ৬৪ রানে জীবন পান কিউই ব্যাটার। সহজ ক্যাচ ছাড়েন তাইজুল। ৪ উইকেটে ১৬৮ রান তুলে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে নিউজিল্যান্ড।
তার আগে হেনরি নিকোলসকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি পেসারের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ক্যাচ দেন অতিথি ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে নিকোলস করে যান ১৯ রান। মারেন একটি করে চার-ছয়। ফিফটির পথে রয়েছেন উইলিয়ামসন।
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে ২৪ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের ছিল ২ উইকেটে ৭৮ রান। দলীয় শতকের আগে ৯৮ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
চায়ের শহরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ১৩তম ওভারে দলীয় ৩৬ রানে টম ল্যাথামকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ খেলতে গিয়ে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ল্যাথামের ব্যাটে আসে ৪৪ বলে ৩ চারে ২১ রান।
উইকেটে থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার ডেভন কওনয়ে। ১৫তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের অফস্টাম্পের বাইরের বলটি রক্ষণাত্মকভাবে খেলেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। বল ব্যাটের কানায় লেগে প্যাডে আঘাত হেনে সিলি পয়েন্টে যায়। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ নেন অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন। ফেরার আগে ৪০ বলে ১২ রান করে যান কনওয়ে।
মঙ্গলবার টেস্টের প্রথমদিনে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে ৩১০ রান তুলেছিল। দ্বিতীয় দিনে এক বলের বেশি নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ইনিংস স্থায়ী হয়নি।
টাইগারদের হয়ে ১৬৬ বলে ১১ চারে ৮৬ রানে থামেন জয়। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে অনেকটা পথ টানেন ২৩ বর্ষী ওপেনার। ৭৮ বলে ৪টি চারে ৩৭ রান করে ফেরেন মুমিনুল। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা শান্ত ৩৫ বলে দুই চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বাধিক ৪ উইকেট শিকার করেন গ্লেন ফিলিপস। দুটি করে উইকেট নেন কাইল জেমিসন ও আজাজ প্যাটেল।