বিরক্ত নাকি হতাশ? এমনও হতে পারে আপনি বুঝতেই পারছেন যা যে কোনটিতে ভুগছেন আপনি। কারণ বিরক্তি আর হতাশা এই দুটি অনুভূতির মধ্যে পার্থক্য বেশ সূক্ষ্ম। কিন্তু বিরক্তি সাময়িক হলেও হতাশা হতে পারে মারাত্মক সমস্যা। তাই হতাশাকে বিরক্তির মুখোশে ঢেকে না ফেলাই ভালো। কারণ সময়মত হতাশাকে সনাক্ত করতে না পারলে তা আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষতির কারণ হতে পারে। জেনে নিন বিরক্তি এবং হতাশার মধ্যে পার্থক্য।
হতাশা কী?
হতাশা হলো এক ধরনের মানসিক সমস্যা যা মনকে বিষণ্ণ করে তোলে। দীর্ঘ সময় ধরে নিজেকে অসুখী এবং শূন্য মনে হয়। ঘুমের সমস্যা হয় এবং নিজেকে মূল্যহীন মনে হতে থাকে। এছাড়াও নানা রকম ভুল ধারণা তৈরি হয় নিজের সম্পর্কে।
হতাশার কারণ অনেককিছুই হতে পারে। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক সব কিছুই হতাশা তৈরি করতে পারে। এমনকি জেনেটিক কারণেও হতাশাগ্রস্ত হতে পারেন ব্যক্তি। গভীর কোনো সম্পর্কে মানসিক আঘাত, সেক্সুয়াল বা ফিজিক্যাল অ্যাবিউজ এবং আরও নানা কারণে হতাশা ভর করতে পারে।
বিরক্তি কী?
বিরক্তি হলো সাময়িক অনুভূতি। আশেপাশের মানুষ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বিরক্তির কারণে কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। বিরক্তি সাধারণত বিশ্রামের অভাবের কারণে, মানসিক উৎকর্ষের অভাবে এবং একঘেয়ে কাজের কারণে হয়ে থাকে।
হতাশা নাকি বিরক্তি কীভাবে বুঝবেন?
ধরুন সারাদিনই খুব একঘেয়ে কেটেছে, বিরক্ত লেগেছে। কিন্তু দিন শেষে বন্ধুদের পার্টিতে গিয়ে উৎফুল্ল থাকছেন। আবার পরের দিন বিরক্ত কাজ নিয়ে। যদি সমস্যাটা এরকম হয় তাহলে এটা শুধু বিরক্তি, হতাশা নয়। কিন্তু হতাশার ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন নয়। হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তি বন্ধুদের আড্ডায় গিয়েও মনমরা হয়ে থাকবেন। হতাশা প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
সমাধান কী?
বিরক্তি বেশ সহজেই কাটানো যায়। কাজের পরিবর্তনেই বিরক্তি কাটানো সম্ভব। প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা, কাজের যায়গা পরিবর্তন, নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে বিরক্তি দূর করা যায়। কিন্তু হতাশা কাঁটাতে সাইকোথেরাপি নেয়া প্রয়োজন। পরিবারের সহায়তা এবং সাইকোথেরাপির মাধ্যমে হতাশা কাটিয়ে ওঠা যায়। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসক ওষুধ দিয়ে থাকেন।