চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তৃতীয় ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিমান বাংলাদেশের বহরে যুক্ত হওয়া বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এটি বিমান বাংলাদেশের বহরে তৃতীয় ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। 

বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে সকাল ১১.৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গাঙচিল’র শুভ উদ্বোধন করেন।  উদ্বোধনের পর সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ বিমানটি আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটায় প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।  এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার।

এর আগে গত ২৫ জুলাই কোনো যাত্রা বিরতি ছাড়াই সিয়াটল থেকে সরাসরি ঢাকায় এসে অবতরণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৩য় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’। এর মধ্যে দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৫।

বিমান সূত্র জানাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী সবক’টি ড্রিমলাইনারের নামকরণ করেন। ‘আকাশবীণা’ নামের প্রথম বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি গত বছরের আগস্টে এখানে আসে। ‘হংসবলাকা’ নামের দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি আসে গত বছরের ডিসেম্বরে।

মান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের একটি চুক্তি করে।

ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, ২টি ৭৩৭-৮০০ এবং ৩টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার।

আরো জানায়, ‘রাজহংস’ নামের চতুর্থ ড্রিমলাইনারটি আগামী মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত হবে।

২৭১ আসনের বোয়িং ৭৮৭-৮ গাংচিল ড্রিমলাইনারটি ২০ অন্য বিমানের তুলনায় শতাংশ জ্বালানি-সাশ্রয়ী করে তৈরি করা হয়েছে। এটি ঘণ্টায় গড়ে ৬৫০ মাইল বেগে বিরতিহীনভাবে ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম।

অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। পলে যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন এবং বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে অবস্থিত বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।