হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কার্গো সার্ভিস সেবা ২৪ ঘন্টা চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জরুরিভিত্তিতে গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমদানীকৃত মালামাল খালাস করার জন্য ব্যাংকগুলোর যেসব শাখায় এলসি খোলা হয় সেসব শাখাগুলো শনিবারেও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কার্গো সার্ভিস সেবা ২৪ ঘন্টা চালু রাখা, ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুকরাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনের অংশগ্রহণে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআই-বিজিএমইএর সভাপতিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক থেকে ক্লিয়ারকৃত কার্গোর বিল’র মালামাল শনিবার ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা নেয় হবে এবং কাস্টমসের প্রয়োজনীয় জনবলসহ উপস্থিত থাকবে।
সভার অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে:
এক. ঢাকা বিমান বন্দরে কার্গো আসার আগেই প্রি-অ্যারাইভাল পদ্ধতি সম্পন্ন করতে হবে। উল্লেখিত পদ্ধতিটি চালু করার জন্য জরুরিভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এসআরও জারি করতে হবে। প্রি-অ্যারাইভাল পদ্ধতির জন্য ফ্লো চার্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুই. প্রতি কার্যদিবসে মালামাল ডেলিভারি দেওয়ার জন্য রাত ৯টা পর্যন্ত গুদামঘর খোলা রাখতে হবে। এছাড়াও যদি কোন বিমান ভাড়া বাকি থাকে তা পরিশোধের উদ্দেশ্যে বর্ধিত সময়ের জন্য গুদামঘর খোলা রাখতে হবে।
তিন. দ্রুত বিল অব এন্ট্রি পদ্ধতি ও শুল্কায়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য এনবিআরের সার্ভার এবং কম্পিউটারগুলোর কনফিগারেশন বাড়াতে হবে।
পাঁচ. আমদানীকৃত মালামাল খালাস করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের দায়িত্ব এবং তা সম্পাদনের প্রক্রিয়া বিষয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদস্যের (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যান) নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ফ্লো চার্ট তৈরি করবেন।
ছয়. আমদানীকৃত মালামাল খালাস করার প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ একজন করে ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ করবে। বেবিচকের সদস্য (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যান) মূল ফোকাল পয়েন্টের দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিষয়টি সমন্বয় করবেন।
সাত. বেবিচকের একটি হট লাইন থাকবে এবং এ সম্পর্কিত অভিযোগ ও পরামর্শ সেখানে দেওয়া যাবে।
আট. এছাড়া বিমান বন্দরের যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন করতে হবে। কার্গো সার্ভিস সেবার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে টিম সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করবে।