বেসামরিক বিমান চলাচল আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে শাস্তির বিধান রাখা হয়। এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং ৫ কোটি টাকা জরিমানা।
সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে আজ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইসিএও) দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ‘বেসামরিক বিমান পরিবহন অধ্যাদেশ ১৯৬০-এর হালনাগাদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন সংশ্লিষ্ট আইন লংঘনের অপরাধের শাস্তি আরো কঠোর করার প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন আইনে।
সচিব বলেন, অপর যে দু’টো আইন আজ মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৭-এর খসড়া এবং বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন আইন ২০১৭-এর খসড়া।
বৈঠকে প্রথমেই কানাডার আদালতে বাংলাদেশ পদ্মাসেতু প্রকল্পে দর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলার রায় নিয়ে আলোচনা হয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতি প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে বলেও অভিমত দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
এদিনের বৈঠকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল আইন ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আইন ২০১৭ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এছাড়া খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বস্ত্রনীতির খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এগুলো ছাড়াও ২০১৬ সালের ৩ থেকে ৬ অক্টোবর মেয়াদে ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত ফুড অ্যান্ড এফএও-র বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ২০১৭ মেয়াদে ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি লন্ডনে এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ফোরামে শিক্ষামন্ত্রীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে এবং মালেয়েশিয়া রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ত্রাণবাহী জাহাজ পাঠানোয় মন্ত্রিসভা থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=y4dOQQuwkmY