বিমানের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্ব দিয়ে যাত্রীসেবার মান বিশ্বাস ও সততার সাথে নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করে এই নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন তিনি।
বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ)’র ভিভিআইপি টারমাকে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্যক্রয়কৃত উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনের পরে শেখ হাসিনা বিমানের অভ্যন্তরে পরিদর্শন করেন এবং বিমানের পাইলট ও অন্যান্য ক্রুদের সঙ্গে কথা বলেন।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন: কষ্ট করে, এতো অর্থ দিয়ে বিমান কিনে দিয়েছি। এর রক্ষণাবেক্ষণ যেমন আপনাদের আন্তরিকতার সঙ্গে করতে হবে। সেই সাথে যাত্রীসেবার মান, যাত্রীদের বিশ্বাস সততা ও বিশ্বাসের সাথে নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আমাদের যে ভৌগোলিক অবস্থান, তার কারণে অনেক বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবো।
তিনি বলেন, যাত্রীসেবার পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রপ্তানি প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করতে আমরা দুটি কার্গো বিমান ক্রয় করবো এবং উন্নতমানের কার্গো ভিলেজ তৈরি করে দেব। যাতে রপ্তানিটা সহজভাবে করতে পারি।
এসময় লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিমানের নতুন রুট চালুর বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সাথে দেখছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বহরে চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার যুক্ত হয়েছে। এটি জাতীয় পতাকাবাহী ‘বিমানের’ বহরে যুক্ত হওয়া ১৬তম বিমান।
বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বিমান কারখানা থেকে ওই দিনই বিকেলে সরাসরি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা জলকামান স্যাল্যুট জানিয়ে বিমানবন্দরে ড্রিমলাইনারটি গ্রহণ করেন।
এর আগে, গত বছরের আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসে প্রথম ও দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশ বীণা’ ও ‘হংসবলাকা’ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। গত জুলাই মাসে তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ ঢাকায় অবতরণ করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করে।
চুক্তি অনুযায়ী বোয়িং ইতোমধ্যেই চারটি ৭৭৭-৩০০ইআর ও দু’টি ৭৩৭-৮০০ এবং চারটি ড্রিমলাইনার বিমানকে হস্তান্তর করেছে।
২৭১ আসনের ‘রাজহংস’ বোয়িং ৭৮৭-৮ কে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানী সাশ্রয়ী বিমান হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বিমানটি ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল বেগে একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম।
বিমানটি ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ওয়াইফাই পরিষেবা দেবে।