বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পণ্য পরিবহনে যুক্তরাজ্যের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা পর এই বৈঠক করলেন মন্ত্রী। বলেছেন, সমস্যার সমধান না হওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরে প্রতিদিন ক্যাম্প অফিস করবেন মন্ত্রী নিজে এবং সচিব।
নিরাপত্তা জোরদার করা না হলে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পণ্য পরিবহনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত করে মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এই চিঠির পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক করেন বিমান মন্ত্রী। মন্ত্রণালয় থেকে বৈঠক করেই পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে সরাসরি চলে আসেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানে দীর্ঘ সময় নিয়ে বিমানবন্দরে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মন্ত্রী। পরে কথা বলেন চ্যানেল আই এর সঙ্গে।
বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। শুধু তাই না, আগের রাতে যুক্তরাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সরাসরি আমাদের টেলিফোন করেছেন। এটি সবমিলিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বেঁধে দেয়া ৩১ মার্চের মধ্যে সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। বলেন, আমি ও আমার সচিবরা প্রতিদিনই এয়ারপোর্টে অফিস করবো।
এরপর মন্ত্রী বিমানবন্দরের ভিতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন। পরে মন্ত্রী যান বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজে। ঘুরে দেখে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন তিনি। বলেন, কার্গোর বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কার করা হয়েছে। মালামাল যেন সঠিকভাবে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল প্লেনের গার্বেজ সরানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক মানের না করলে বিমানের ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইটও নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীলরা।